হাসান শান্তনু : সরকারের স্বঘোষিত, অষোষিত ‘সব্যসাচী মুখপাত্ররা’, যারা টিভি ক্যামেরা ‘সচেতন’ ও মাত্রাতিরিক্ত প্রচারকামী, তাদের কেউ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘাতক আবদুল মাজেদকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর থেকে এখনো পর্যন্ত আশঙ্কা প্রকাশ করে বক্তব্য দেননি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারীদের একজন, যে এতোদিন ‘বিদেশে পলাতক’ বলে রাষ্ট্র জানিয়েছে জনগণকে, সেই নরঘাতক দেশে ঢুকলেন কীভাবে, কেন ঢুকলেন? নতুন কোনো হত্যাকা-ের ষড়যন্ত্র আছে কিনা? ঘাতকটা কী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ‘ফাঁকি’ দিয়ে দেশে ঢুকেছেন, না ভয়ংকর কোনো গোষ্ঠীর সহায়তায় ফিরেছেনÑ তদন্ত শেষে জনমনের এসব প্রশ্নের উত্তর জানানো হবে বলে এখন পর্যন্ত সরকারি ‘সব্যসাচী মুখপাত্রদের’ কাছ থেকে শোনা যায়নি। সরকারের কারও সঙ্গে মাজেদের কোনো যোগাযোগ ছিলো কিনা, এরও তদন্ত দরকার। বঙ্গবন্ধুর কয়েক ঘাতক তার সরকারেই লুকিয়ে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলার যাদের চোখে ‘ফাঁকি’ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ঘাতক দেশে ঢুকতে পারলেন, তারাই বা কারা? তালিকা তৈরি করে রাষ্ট্র কি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের চাপে পড়লে হয়তো নিয়মিত বুলি আওড়াবেন, ‘বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে’। কোন বিষয়টা মন্ত্রী খতিয়ে দেখেন, কোনটা হাতিয়ে দেখেন, তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অজানা থেকে যায়। ‘মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার খুনি মাজেদকে গ্রেপ্তার’ বলে তিনি ইতোমধ্যে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর সঙ্গে দ্বিমত নেই। এমন ভয়ংকর ঘাতককে শেষ পর্যন্ত ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের সঙ্গে যেসব আশঙ্কার জন্ম হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে এর ছাপ ছিলো না। আশঙ্কাটা এখানেই বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের নতুন কোনো হত্যার ষড়যন্ত্র থেকে থাকলে এর মূল টার্গেট হবেন তারই তনয়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে এ পর্যন্ত যতোবার হত্যা করার চেষ্টা হয়েছে, পৃথিবীতে জীবিত আর কোনো দেশের রাষ্ট্রনায়কের বেলায় এমন নজির নেই। একাত্তরের ঘাতক, ইসলাম ব্যবসায়ী, পঁচাত্তরের ঘাতকরা জানেন, তাদের ফাঁসিতে লটকাতে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সাহসেই বাঙালি, বাংলাদেশ সাহসী। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :