সুজিৎ নন্দী: [২] করোনাভাইরাসের কারণে গোপালগঞ্জে এ বছর বোরো ধান কাটার শ্রমিকের অভাব দেখা দিতে পারে। গোপালগঞ্জে সাধারণত বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আনা হয়ে থাকে। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটের শ্রমিক বেশি আসতো।
[৩] জানা যায়, কয়েকদিন পর থেকে ধান কাটা মৌসুম শুরু হবে কিন্তু করোনা ভাইরাসের যে সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে তাতে বাহিরের জেলা থেকে শ্রমিক আনা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
[৪] গোপালগঞ্জের বেশিরভাগ এলাকায় এক ফসল হয়ে থাকে। বেশিরভাগ কৃষক এই এক ফসল ধানের ওপর নির্ভরশীল। সারাবছর এই ধানের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন হাজার হাজার পরিবার।
[৫] এলাকাবাসী জানান, কেউ কেউ ধার দেনা করে জমি চাষাবাদ করে থাকেন। অনেকে আছেন অন্যের জমি বর্গা করে চলেন। সারা বছরের এই ফসল ঘরে তোলার সময় এমন দুর্যোগে অন্যান্য কৃষকদের সাথে আমরাও দিশেহারা পড়েছি।
[৬] এ সময় কালবৈশাখী দেখা যায় এবং বৈশাখের শেষ দিক থেকে মাঠ ঘাট তলিয়ে যেতে শুরু করে। এমতাবস্থায় বিকল্প উপায় হিসেবে পর্যাপ্ত ধান কাটার যন্ত্র বরাদ্দ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে এই এলাকার সাধারণ কৃষকদের পথে বসা লাগবে।
[৭] এ ব্যাপারে এলাকার মানুষ গোপালগঞ্জের কৃষি অফিস, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :