আব্দুল্লাহ মামুন : [২] রাজধানীর দক্ষিণখানে স্ত্রী ও দুই সন্তান হত্যার দায়ে বিটিসিএল কর্মকর্তা রকিবউদ্দিন লিটনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। দু'মাস আগে এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন লিটন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
[৩] নৃশংস্য এই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লিটন জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রথমে ড্রয়িংরুম থেকে বেডরুমে আসেন এরপর বড় হাতুড়ি দিয়ে তার স্ত্রী মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর তার মেয়ের গলায় রশি পেচিয়ে মেরে ফেলে ছোট মেয়েটাকেও। এরপর যান ছেলের রুমে। যখন তাকেও একই ভাবে ফাসঁ দিতে যায় তখন ছেলেটি লাফ দিয়ে উঠে বলে ‘বাবা তুমি আমাকে মেরে ফেলবা’ লিটন বলে হ্যা বাবা আমরা পৃথিবীতে কেউ থাকবো না।
[৪] অনলাইনে ও বিভিন্ন জায়গায় জুয়া খেলে রকিব উদ্দীন লিটন কোটি কোটি টাকার ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন। ঋণ পরিশোধের ভয়ে সপরিবারে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।
[৫] লিটন খুন করার দুদিন পর নিহতদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ সেখানে একটি চিরকুট পায়। তাতে লেখা ছিল ‘সবাইকে মুক্তি দিয়ে গেলাম এরপর আমার লাশ মিলবে রেল লাইনে’। চিরকুটের লেখা অনুযায়ী লিটনের আত্মহত্যার কথা থাকলেও পাগলের ছদ্মবেশে গাঁ ঢাকা দেয় লিটন।
[৬] গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, কখনো পাগল কখনো ভিক্ষুকের ছদ্মবেশ নিয়ে ঘুরে মানুষের দান দক্ষিনায় জীবন চালাতো লিটন। সম্প্রতিকালে নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা নিয়ে দূরে পালাবার চেষ্টা করছিলো। তবে তার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :