শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল, ২০২০, ০৮:৪৩ সকাল
আপডেট : ০৮ এপ্রিল, ২০২০, ০৮:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাজেদ কি নেত্রীকে হত্যা করতে এসেছিলো?

জয়নাল হাজারী:  বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাজেদ দুইদিন আগে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। বলা হচ্ছে সে কলকাতায় ২৫ বছর কাটিয়েছে। সে বাংলাদেশে কবে এসেছে এবং কিভাবে এসেছে, কেন এসেছে এটা এখনো পরিষ্কার নয়। সব কিছুই খানিকটা রহস্যজনক। আশা করা যাচ্ছে দুই একদিনের মধ্যেই সব কিছু খোলসা হয়ে যাবে। আমি মনে করি কলকাতায় তার সঙ্গে অসংখ্য বাংলাদেশীর বিভিন্নভাবে যোগাযোগ ছিলো। এদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রিয় ব্যক্তিরাও থাকতে পারে। এই নামগুলো বের করে আনতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কোন খুনিকেই বাংলাদেশে পালিয়ে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়নি।

যখন যাতায়েতের সকল দুয়ার বন্ধ তখন মাজেদ কি করে বাংলাদেশে এলো সেটি বের করা জরুরি। যাদের গাফেলতিতে সে এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তাদেরকে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নাই। এবার সব চাইতে রহস্যজনক প্রশ্নটি হচ্ছে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও দীর্ঘদিন পর সে কেন বাংলাদেশে এলো। সারা পৃথিবীর মত বাংলাদেশও করোনা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ঠিক সেই সময়ে মাজেদ কি আরো একটি হত্যাকান্ড ঘটাতে চেয়েছিল? মাজেদ জানে সকলের দৃষ্টি করোনার দিকে এবং এই সুযোগে আরেকটি হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারলে হয়তো তারা বেঁচে যাবে। এসব নিশ্চয়ই জিজ্ঞেসাবাদে বেরিয়ে আসবে। আমার কাছে এখন সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই মাজেদের দণ্ড দ্রুত কার্যকর করা। কেননা করোনা কখন কোন দিকে মোড় নেয় কেউ তা সঠিক করে বলতে পারেনা।

এমনও তো হতে পারে ফাঁসি দেয়ার লোকও থাকবে না। কোথাও কাউকে পাওয়া যাবে না। করোনার আক্রামণ ছাড়াও খাদ্যের কারণেও লক্ষ লক্ষ মানুষ পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে। মোটকথা সময় ক্ষেপন করার সুযোগ নেই। এখনই কথা বের করে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। করোনার কারণে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে আবার আমাদের দেশে অনেকে আইনের উর্ধ্বে উঠে গেছে। করোনার কারণেই ফেনী নোয়াখালির ফোর লেনের কাজ আজও যারা বন্ধ করে রেখেছে তাদের কিছুই হলো না।

সমাবেশ বন্ধ করার জন্য যেখানে মসজিদে যাওয়া পর্যন্ত আটকে দেয়া হয়েছে সেখানে যারা রিলিপ দেয়ার নামে হাজার হাজার মানুষকে জড়ো করেছে তাদের কিছ্ইু হলো না। যারা করোনার জন্য হাসপাতাল করার সময় হামলা করে তা বন্ধ করেছে ওদেরও কিছুই হলো না। সরকারের নির্দেশ অমান্য করে যারা গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঢাকায় জড়ো করেছে এবং এখনো তাদের পক্ষে কথা বলছে তাদের কিছুই হলো না। গার্মেন্টস শ্রমিকদের যে মালিকরা শ্রমিকদের ঢাকায় জড়ো করেছে তাদের ব্যাপারে আজ পীর হাবিবুর রহমান অত্যন্ত জ্ঞানও গর্ব একটি নিবন্ধ লিখেছে বাংলাদেশ প্রতিদিনে। আমি তাই তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। মাজেদ কি তবে এই মূহুর্তে নেত্রীকে হত্যা করতেই চুরি করে দেশে প্রবেশ করেছিল? বিষয়টিকে দয়া করে কেউ হালকাভাবে নেবেন না।

লেখক উপদেষ্টা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সাবেক সংসদ সদস্য। হাজারিকা প্রতিদিন থেকে সংগৃহিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়