পিরোজপুর থেকে বিপ্লব বিশ্বাস : [২] পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও প্রাদুর্ভাবজনিত যে কোনো জরুরী পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার সরকারি নির্দেশ দেয়া হলেও, উপজেলায় কর্মরত সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রায় ১৬ জন কর্মকর্তা সরকারি নির্দেশ মানছেন না।

[৩] জানা যায়, অত্র উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ ওবায়দুর রহমান ৩০ মার্চ এবং ৬ এপ্রিলে দুটি পৃথক অফিস আদেশের মাধ্যমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বিভিন্ন দপ্তরের মোট ২৭ জন কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনকে করোনা মোকাবিলায় সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান’সহ সংশিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সাথে সংযুক্ত হয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি, ত্রাণ বিতরণ, হাটবাজারের লোক সমাগম নিয়ন্ত্রণ করাসহ বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হয়৷

[৪]গতকাল উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে সরেজমিনে গিয়ে ১৬ জন কর্মকর্তার অফিস তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে। অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তারা একেকজন একেক বাহানার কথা বলেন। কেউ কেউ মোবাইল ধরেননি।

[৫]এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিভিন্ন কর্মকর্তাকে বার বার মুঠোফোনে নিয়মিত কর্মস্থলে আসার কথা বললেও তারা কিছুতেই কর্ণপাত করছেন না। তারা সম্পূর্ন নিয়ম বহির্ভূতভাবে সরকারি আদেশ অমান্য করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ফলে করোনাভাইরাসের সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনাসহ অসহায় দুস্থদের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে বাধাগ্রস্থ হতে হচ্ছে।অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’