মাজহারুল ইসলাম : [২] করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ভেন্টিলেটরের অপর্যাপ্ততায় উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি। আর তাই বাংলাদেশে মানবিক বিপর্যয় রোধে ভেন্টিলেটরের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
[৩] সেভ দ্য চিলড্রেন অস্ট্রেলিয়ার এক বিবৃতিতে বলা হয়, বেশিরভাগ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও ভেন্টিলেটরের সুবিধা রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি প্রধান শহরে রয়েছে। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের কাছে এসব সুবিধা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়বে।
[৪] এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ১ হাজার ৭৬৯টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ৯৩ হাজার ২৭৩ মানুষের জন্য ভেন্টিলেটর আছে গড়ে একটি। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়তে শুরু করলে, ভেন্টিলেটরের অভাবে জেলা পর্যায়ের অনেক মানুষের মৃত্যু হবে।
[৫] বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেন এর ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. শামীম জাহান বলেন, কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঘটলে তা বাংলাদেশের পক্ষে ঠেকানো কঠিন হবে।
[৬] তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই দুর্যোগের মধ্যে আছি। তাই জি২০ দেশগুলোর উচিত জরুরি ত্রাণ সরবরাহের জন্য একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনা হাতে নেয়া। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকেও ভেন্টিলেটর সুবিধা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে যুক্ত করা প্রয়োজন।
[৭] সম্প্রতি বিবিসিবাংলা অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শ্বাসকষ্ট জণিত রোগির জীবনরক্ষায় ভেন্টিলেটর খুবই কার্যকর এক যন্ত্র। ফুসফুস কাজ না করলে রোগীর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কাজটা করে এই ভেন্টিলেটর। এর মাধ্যমে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে রোগী কিছুটা সময় পান। নানা ধরনের ভেন্টিলেশন যন্ত্র দিয়ে এ কাজটা করা হয়।
[৮] যদিও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত প্রায় ৮০শতাংশ রোগি হাসপাতালের চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে প্রতি ৬ জন রোগীর মধ্যে একজন গুরুতর অসুস্থ হতে পারেন। দেখা দিতে পারে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে জটিলতা। এ ধরনের ঘটনা রোগীর ফুসফুস বিকল করে দিতে পারে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :