মশিউর রহমান ও মনির জামান : [২] ক্যাপ্টেন মাজেদের বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের উত্তর বাটামারা গ্রামে । তার বাবার নাম আলী মিয়া। তারা ৪ ভাই ও ৩ বোন। ক্যাপ্টেন মাজেদ ভাইদের মধ্যে তৃতীয়। মেজো ভাই আব্দুল মজিদ ছাড়া সবাই জীবিত আছেন।
[৩] স্থানীয়রা জানায়, বাড়িতে বর্তমানে আত্মীয়-পরিজন কেউ থাকে না। কয়েক বছর আগে বাড়িটি সরকার খাস খতিয়ানভুক্ত করেছে। এরপর তার স্ত্রী হাইকোর্টে মামলা করে স্থিতাদেশ করিয়েছেন।
[৪] ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু বলেন, সে এতদিন পাকিস্তানে ছিলো। তার বাড়ি ভোলায়, এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
[৫] তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এভাবেই একের পর এক ধরা পড়বে এবং সাজা ভোগ করবে। এই মুজিব শতবর্ষে জাতির জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। আমার জানামতে সে জেল হত্যার সঙ্গেও জড়িত।
[৬] ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু বলেন, আমরা ভোলাবাসী অত্যন্ত খুশি হয়েছি। ফাঁসির রায় তাড়াতাড়ি কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত এই খুনির যেন দ্রুত ফাঁসি হয়।
[৭] বড় মানিকা ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন বাবর জানান,মাজেদ সমগ্র জাতির সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। আমি তার দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি করছি।
[৮] শিক্ষক মাহবুবুর রহমান জানান,মাজেদ ক্যাপ্টেন জাতির জন্য একটি কলঙ্ক। তাকে ঘৃণা করার মতো ভাষা নেই।
[৯] ভোলা -২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি, ফাঁসির আসামি, কুখ্যাত নরপিচাশ ধরাপড়ায় সারা বাংলার জনগণ আনন্দিত। অতি দ্রুত তার ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি করছি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান, জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :