তাপসী রাবেয়া: [২] দেশে প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের মোট চাহিদা ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। এবছরের ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত লবণ মাঠ ও লবণ মিলে মোট ১০.২৬ লক্ষ মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে। এছাড়া সকল জেলার ডিলার, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়েও আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ মজুত রয়েছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানান হয়।
[৩] প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০১৯-২০২০ লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮.৫০ লক্ষ মেট্রিক টন। এর মধ্যে এ বছরের ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১০.৩৪ লক্ষ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে মোট নিবন্ধিত লবণ মিলের সংখ্যা ২৭০। এরমধ্যে করোনা প্রভাবের পূর্বে ১৮০টি মিল চালু ছিল। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ১৭০টি মিল চাহিদা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় স্বল্প পরিসরে চালু রয়েছে।
[৪] উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং এর প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতিতে মাঠে লবণ উৎপাদন, মিলে প্রক্রিয়াজাত ও আয়োডিনযুক্তকরণ ও বাজারজাতকরণে বিসিক বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । সরকার কর্তৃক ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন নিরবিচ্ছিন্নভাবে আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন ও বাজারজাত অব্যাহত রাখতে চাহিদা অনুযায়ী লবণ মিলগুলোতে পটাশিয়াম আয়োডেট সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া, বিসিকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে মাঠে লবণ উৎপাদন, মিলে লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আয়োডিনযুক্তকরণ এবং বাজারজাতকরণসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করতে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
[৫] পাশাপাশি, লবণ চাষীদের নিয়মিত আবহাওয়া সংবাদ প্রদান, লবণ উৎপাদন ও মজুদ বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রদান, ক্রুড লবণ বাজারজাতকরণের জন্য লবণ চাষী ও মিলারদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম সমন্বয় সাধন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া লবণ মিলে শিল্প ও আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন, বিক্রি, মজুদ ও মূল্য সম্পর্কিত নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি করে তা বিসিকের প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :