তপু সরকার, শেরপুর প্রতিনিধি : [২] জেলায় দুই করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় সচেতন হয়ে উঠছে শহর পাড়া মহলার বাসিন্দারা । ইতিমধ্যে বেশ কিছু পাড়া মহল্লার প্রধান প্রধান সড়কে বাঁশ বেঁধে স্বেচ্ছায় লকডাউন করেছে স্থানীয়রা ।
[৩] করোনা ইস্যু শুরু থেকেই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন অক্লান্ত পরিশ্রম করেও শহরের পরিস্থিতি লকডাউনে নিয়ে আসতে পারলেও গ্রাম পর্যায়ে তা কোনো ভাবেই হয়ে উঠছিলনা ।
[৪] পুলিশের মানবিক স্লোগান নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশ ততটা কঠোর না হয়ে সচেতনেতার দিকেই জোর দিয়েছিল এতদিন। তবে শেরপুরে ইতিমধ্যে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় কঠোর অবস্থানে আইনশৃংখলা বাহীনি। সেই সাথে কিছুটা সচেতন হয়ে উঠেছে স্থানীয় জনতাও ।
[৫] গত রোববার রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকার তরুন সেচ্ছাসেবকরা এলাকাবাসীর সম্মতিতে বন্ধ করে দিতে থাকে নিজ নিজ এলাকায় ঢোকার প্রবেশ পথ। শহরের চকবাজার, চকপাঠক নবীনগর, গৃদ্দানারায়নপুর, ঝিনাইগাতীর টেংরাখালীমোড়, ঝিনাইগাতীর কালীবাড়ী স্কুলের সামনে নকলার কয়েকটি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এই ধরনের সেচ্ছায় লকডাউন গড়ে তুলতে দেখা গেছে।
[৬] অন্যদিকে চরম খাদ্যের অভাবে এক শ্রেনীর খেটে খাওয়া দিন মজুর ,রিকসা ওয়ালা ঠেলাগাড়ী সি.এন.জি শ্রমিক দেশের এই ক্রান্তিকাল সময়ে সরকারি সিদান্তে কোথাও কাজের সন্ধানে বের হতে পারছে না । সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যাক্তিগতভাবে যে পরিমান ত্রান দেয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল ।
[৭] অনেকেই ঘরে বসেই বোবা কান্নায় ঝরছেঁ চোখের জল, । গতকাল কথা হয় সখিনা বেগম নামে ৪নং ওর্য়াডের বাসিন্দা তিনি বলেন করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারী সিদান্তে বাচ্চার বাবা কাজে বেরহতে পারছে ও না অন্যদিকে অভাবী মানুষকে পর্যাপ্ত পরিমান সরকারি ত্রান এবং ন্যায্যমূল্য ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণের সঠিক ব্যাবস্থা না হলে সামনে আরো বড় বিপর্যয় হতে পারে বলে আশংক্ষা প্রকাশ করেন অভিজ্ঞ মহল ।
[৮] রোববার বেলা সাড়ে ১০ টার সময় ৪নং ওর্য়াডের নায্যমূল্যে ডিলারের দোকানে গিয়ে দেখা যায় ১৫০ টাকার প্যাকেজ ৫কেজি চাল ও ৫কেজি আটা এ-রকম একটি প্যাকেজ । যেখানে প্রয়োজন ১০০০ জনের , সেখানে দেয়া হয় ২০০ জনকে। অনেক কাঠখর পার করে মাহ্ মুদা খাতুন আটা ও চালের দুটি নিয়ে পুটলা হাতে নিয়ে চোখ দিয়ে ঝড় ঝড় জড়ছে জল । এ-বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি । সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :