ইসমাঈল আযহার : [৩] নতুন আইনে বলা হয়েছে, যারা জম্মু-কাশ্মীরে ১৫ বছর ধরে বসবাস করছেন বা সাত বছর সেখানে পড়াশোনা করে সেখান থেকেই দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছেন, তারাই কেবল স্থায়ী বাসিন্দার (ডোমিসাইল) সনদ পেতে পারেন।কেন্দ্রীয় সরকার, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি গবেষণাগারের যেসব কর্মী জম্মু-কাশ্মীরে কাজ করেছেন, তাদের সন্তানরাও এ সুযোগ পাবেন। আনাদোলু আরবি, কাশ্মীর লিংক
[৪] শুধু এই স্থায়ী বাসিন্দারাই জম্মু-কাশ্মীর সরকারের নন-গেজেটেড স্তরের লেভেল-৪ পর্যন্ত সব পদে আবেদন করতে পারবেন। লেভেল ফোর পদের মধ্যে আছে কনস্টেবল, জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট। জম্মু-কাশ্মীর সরকারের বাকি পদগুলোর জন্য সব ভারতীয় নাগরিকই আবেদন করতে পারবেন।
[৫] ওআইসির স্বতন্ত্র স্থায়ী মানবাধিকার কমিশন (আইপিএইচআরসি) এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, তারা ভারত সরকারের এই নতুন আইন প্রণয়নের নিন্দা জানাচ্ছে। আইটির মাধ্যমে অধিকৃত কাশ্মীরের ‘জনমিতিক ও ভৌগলিক’ অবস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে। এটিকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল ও ওআইসির প্রস্তাবের লঙ্ঘন উল্লেখ করে ভারতকে এই অঞ্চলে আরোপিত ‘কঠোর আইন’ বাতিল ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
[৬] পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এই নতুন আইনটিকে ‘সকল আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।