খান আসাদ : এই যে কান খুলে শোন, অর্থনীতি মানে পুঁজিবাজার নয়। অর্থনীতি মানে ব্যবসা নয়। অর্থনীতি মানে উৎপাদন, বণ্টন, বিনিময় ও ভোগ। বেঁচে থাকার জন্য যে উৎপাদন সবার আগে দরকার, সেটা খাবার। আর এই খাবার তোদের বাবা আর মায়েরা উৎপাদন করে না, করে কৃষক। এই কৃষক শ্রম দেয় বলে তুই খাবার পাস, তোর প্লেটে খাবার জোটে। বলদের বাচ্চা তুই ফলে ভাবিস, তোর বাপের ঘুষের টাকা আছে বলে তুই বাজার থেকে কিনতে পারিস। তোর বাপের ব্যাংক লুটের টাকা আছে বলে তুই খাবার কিনতে পারিস। কিন্তু কৃষক ফসল না ফলালে তোর বাপের ঘুষের বা লুটের টাকায় তোর পেট ভরবে না। তুই বাঁচবি না। তোরে বাঁচিয়ে রাখছে কৃষক। হ্যাঁ বাংলার কৃষক, তুই যারে ছোটলোক মনে করিস। আর আছে বিজ্ঞানীরা, যারা কৃষি প্রযুক্তির বিকাশের জন্য গবেষণা করছে। আর আছে ডাক্তাররা, যারা তোর অসুখ হলে চিকিৎসা দেয়। আছে দরজি, কামার, কুমার যারা প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র বানায়। আছে পরিচ্ছন্ন কর্মী, যারা সব কিছু সাফ সুতর রাখে। আছে রান্নার লোক, যে তোদের খাবার বানায়। আছে নাপিত, যে তোর চুল কেটে দেয়, তোকে সুন্দর রাখে, তার শ্রমও তাই মহান।
গান শুনিস? গল্প কবিতা উপন্যাস পড়িস? সিনেমা দেখিস? সেগুলোও উৎপাদন করতে হয়। মানসিক শ্রম লাগে, অনেক অভিনিবেশ লাগে। অনেক বিনিদ্র রাত কেটে যায় একটি কবিতার দেহ নির্মাণে। এই সব শিল্পী সাহিত্যিকেরা মনের খাবার যোগায়, কৃষকের মতোই। কিন্তু তুই আর তোর বাপ কী কাজে লাগিসরে, কেবল কৃষকের শ্রমের ফসল ভোগ করা ছাড়া? কেবল শিল্পীর সৃষ্টিকে ভোগ করা ছাড়া? কী অবদান তোর মতো মূর্খের? মানুষকে অসম্মান করিস। শোষণ করিস। যুদ্ধ করিস। সাম্প্রদায়িক বর্ণবাদী বাচাল তুই ধর্মের বুলি আওড়াস। কী তোর জীবন রে, পরজীবী অর্বাচীন? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :