মারুফ কামাল খান : কাগুজে নোট বাজারে ছাড়ার সঙ্গে স্বর্ণের মজুদের পরিমাণের সঙ্গতি বজায় রাখার ব্যাপারে বিশ্বের সরকারগুলোর উপরকার বাধ্যবাধকতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উঠে যাওয়ার পটভূমিতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার বিশ্ববাণিজ্য ও অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠে। মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি তেলের মূল্য কেবল ডলারে পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতায় পেট্রো-ডলার হয়ে উঠা ডলার হয়ে উঠে একমাত্র গ্লোবাল কারেন্সি। সাম্প্রতিককালে তো বিট কয়েনের মতো ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রার প্রচলনও দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত বিশ্ববিস্তৃত সাম্রাজ্যে ডলারের সেই আধিপত্য টলে উঠেছে। জাতিসংঘের কর্তৃত্বে নতুন গ্লোবাল কারেন্সি বা বিশ্বমুদ্রা প্রচলনের চিন্তার উন্মেষ ঘটেছে। কাগুজে নোটের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পরিমাণে স্বর্ণ মজুদের বাধ্যবাধকতা বা ধাতব মুদ্রা বিশ্বে আবার ফিরে আসবে কিনা, জাতিসমূহের মধ্যে ক্রান্তিকালীন পণ্যবিনিময় প্রথার প্রচলন ঘটবে কিনা, সুদনির্ভর ব্যাংকিং ব্যবস্থা কতোটা স্থিতিশীল থাকবে তার সব কিছুই নির্ধারিত হবে পরিস্থিতির অবনতির উপর ভিত্তি করে। এসব ঘটনা বিশ্ব অর্থনীতি, বাণিজ্য, ব্যাংকিং সিস্টেম ও আর্থ-কর্তৃত্বের আগাপাশতলা বদলে দিতে পারে। তবে এই মুহূর্তেই পরিষ্কার করে কোনো কিছু বলা না গেলেও চিন্তাশীলদের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :