শরীফ শাওন : [২] রুহুল আমিন ডেইরি ফার্মের উদ্যোক্তা জানান, করোনার প্রভাবে পাইকারি ক্রেতারা দুধ কিনছেন না। পাইকারি মূল্য লিটারপ্রতি ৬০ টাকার স্থলে বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০ টাকায়। প্রতিদিন ৮০ লিটার দুধ উৎপাদান হলেও খুচরা বাজারে ৩০ লিটারের বেশি বিক্রি করা যাচ্ছে না। বাকিটা ফ্রিজে রেখে দিচ্ছি, এভাবে ২০ দিনের বেশি সংরক্ষণ করা যাবে না। এতে দুধের গুনগত মান নষ্ট হবে, ক্রিম থাকবে না। আইসক্রিম কারখানাতেও বিক্রির যোগ্য থাকবে না।
[৩] ন্যাচারাল ডেইরি ফার্মের উদ্যোক্তা মুরাদ জানান, দুধ বিক্রির জায়গা না থাকলেও কমেনি খরচের খাত। খামার ভাড়া, কর্মীদের বেতন, গরুর খাবারসহ নানারকম রক্ষণাবেক্ষণ বিল মিলিয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে লোকসানের মাত্রা। তিনি বলেন, বর্তমানে ৩টি গাভি থেকে দুধ সংগ্রহ করছি। এছাড়াও রয়েছে ১২টি গাভি। এতে প্রতি মাসে খচর হয় ৮০ হাজার টাকা।
[৪] পাইকারি ক্রেতা শামিম মোল্লা জানান, দুগ্ধজাত খাবার উৎপাদনকারী কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় আপাতত দুধ কেনা থেকে বিরত আছি। ব্যবসা বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
[৫] সোমবার উত্তরার চান্দুরা ও বৃন্দাবনসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা এ প্রতিক্রিয়া জানান।
আপনার মতামত লিখুন :