তাপসী রাবেয়া ও মাহমুদুল আলম: [২] ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে অনেকেরই সর্দি-কাশি, জ্বর হচ্ছে একই সঙ্গে বেড়েছে কোভিড-১৯ সংক্রমণের রোগীর সংখ্যা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থাকায় অনেকেই ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। তবে ভয় না পেয়ে সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা জরুরি বললেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসির অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ। একই সঙ্গে নিজের উপসর্গগুলো সতর্কভাবে লক্ষ করতে হবে বলেও মনে করেন এই চিকিৎসক।
[৩] তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাস নতুন। তাই এখন পর্যন্ত তথ্যউপাত্ত অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে উপসর্গ হলো জ্বর ও শুকনো কাশি। কারও কারও ডায়রিয়াও হতে পারে। দুর্বলতা ও ক্লান্তও লাগতে পারে। শুধু এসব উপসর্গ থাকলে আপনার হাসপাতালে না গেলেও চলবে। তবে ডায়াবেটিক, হৃদরোগ, কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট, ক্যান্সার, প্রেশার, ব্রংকাইটিস এবং নিউমোনিয়াসহ যাদের গুরুতর অসুখ আছে তাদের সতর্ক থাকতে হবে শুরু থেকেই। কোনো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
[৪] তিনি বলেন, জ্বর, সর্দি দেখা দেয়ার পরপরই যদি প্রচণ্ড পেটব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট, ক্লান্তি দেখা দিলে শুরুতেই আইইডিসিআরে যোগাযোগ করতে হবে। সাধারণত শুরুতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলেই সুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহটাও খুব সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে। শ্বাসকষ্ট তীব্র না হওয়ার আগেই হাসপাতালে যেতে হবে।
[৫] এই চিকিৎসক আরো বলেন, এখন শারীরিক দূরত্ব মানা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এটাই এখন প্রধান কাজ। আর যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের আলাদ করে ফেলতে হবে।
[৫] কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত সন্দেহ হলে করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, কারও যদি জ্বর ধীরে ধীরে কয়েকদিন সময় নিয়ে জ্বর বাড়ে বা শুকনো কাশ হয়, অথ্যাৎ কফ হবে না। সেক্ষেত্রে সন্দেহ করা যাবে যে হয়ত একজন ব্যক্তির হয়ত কোভিড-১৯ হয়েছে।
[৬] এক্ষেত্রে আইইডিসিআর-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে সন্দেহভাজনের ব্যাপারে জানাতে হবে। তারা এসে সন্দেহভাজনের কফ সংগ্রহ করে নিয়ে পরীক্ষা করবে। পরীক্ষায় পজেটিভ রিপোর্ট আসলে তাকে আইইডিসিআর নিয়ে গিয়ে তাদের তত্ত্বাবধানে রাখবে।
[৭] এই চিকিৎসক বলেন, পুষ্টিকর খাবার ও ভিটামিনও গ্রহন করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :