শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০৮ সকাল
আপডেট : ০৬ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দিনাজপুর চিরিরবন্দরে করোনার প্রভাব, ৩ শত দুগ্ধ  খামার লোকসানের মুখে

চিরিরবন্দর প্রতিনিধি:  [২] করোনাভাইরাসের সংক্রমণ  প্রাদুর্ভাবে দেশের দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দিনাজপুর চিরিরবন্দরে উপজেলার ৩ শতাধিক খামারিরা উৎপাদিত দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। মিষ্টির দোকান ও চা স্টল বন্ধ এবং হাটবাজারে লোক সমাগম কমে যাওয়ায় খোলা বাজারেও খুচরা দুধের চাহিদা কমে গেছে। এ অবস্থায় খামারিরা খোলাবাজারে স্বল্প মূল্যে দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।

[৩]  উপজেলার আব্দুলপুর,অমপুর, আউলিয়াপুকুর, নশরতপুর, সাইতাড়া ও পুনট্রি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ৩ শতাধিক ডেইরি খামার রয়েছে। প্রতিটি কৃষক তাদের বাড়িতে দুগ্ধ উৎপাদনকারী গাভী লালন পালন করেন। এ এলাকা থেকে মিল্ক ভিটা, মিষ্টি কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তরল দুধ সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করে সারাদেশে বাজারজাত করে থাকে।

[৪] শাহনি ডেইরি ফার্মের স্বত্বধিকারী  শামীম সরকার বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে হঠাৎ করেই বাজারে গরুর খাদ্যের দামও বেড়ে  গেছে। দুধ উৎপাদন হলেও বিক্রি করতে না পেরে আমাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। কিছু দুধ বিক্রি করতে পারলেও দাম পাচ্ছি মাত্র ২০ খেকে ২৫ টাকা লিটার। এতে আমরা লোকসানের মুখে পড়ছি।

[৫] এ বিষয়ে উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, ‘খামারে উৎপাদিত দুধ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের মাধ্যম হচ্ছে মিল্কভিটা ,প্রাণ, আড়ং, আকিজসহ একাধিক বেসরকারি কোম্পানি। করোনায় জনজীবন ও যানবাহন স্থবির হওয়ায় কোম্পানি গুলো খামারীদের কাছে পূর্বের তুলনায় দুধ সংগ্রহ কমিয়ে দেয়ায় এই সঙ্কট তৈরী হয়েছে।

[৬] উপজেলার খামারিদের তথ্যানুসারে, করোনাভাইরাস জনিত সমস্যার আগেও পাইকারি হিসেবে প্রতি লিটার দুধ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হতো।  এখন তা খুচরা বাজারে ২০ থেকে ২৫ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। তাও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জোর করে দিতে হচ্ছে। এরপরও বিপুল পরিমাণ দুধ অবিক্রীত থাকছে । এতে খামারিরা দুধ বিক্রিতে বেশ অসুবিধায় পড়েছেন। সম্পাদনা: ইস্রাফিল

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়