চিরিরবন্দর প্রতিনিধি: [২] করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রাদুর্ভাবে দেশের দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দিনাজপুর চিরিরবন্দরে উপজেলার ৩ শতাধিক খামারিরা উৎপাদিত দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। মিষ্টির দোকান ও চা স্টল বন্ধ এবং হাটবাজারে লোক সমাগম কমে যাওয়ায় খোলা বাজারেও খুচরা দুধের চাহিদা কমে গেছে। এ অবস্থায় খামারিরা খোলাবাজারে স্বল্প মূল্যে দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
[৩] উপজেলার আব্দুলপুর,অমপুর, আউলিয়াপুকুর, নশরতপুর, সাইতাড়া ও পুনট্রি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ৩ শতাধিক ডেইরি খামার রয়েছে। প্রতিটি কৃষক তাদের বাড়িতে দুগ্ধ উৎপাদনকারী গাভী লালন পালন করেন। এ এলাকা থেকে মিল্ক ভিটা, মিষ্টি কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তরল দুধ সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করে সারাদেশে বাজারজাত করে থাকে।
[৪] শাহনি ডেইরি ফার্মের স্বত্বধিকারী শামীম সরকার বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে হঠাৎ করেই বাজারে গরুর খাদ্যের দামও বেড়ে গেছে। দুধ উৎপাদন হলেও বিক্রি করতে না পেরে আমাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। কিছু দুধ বিক্রি করতে পারলেও দাম পাচ্ছি মাত্র ২০ খেকে ২৫ টাকা লিটার। এতে আমরা লোকসানের মুখে পড়ছি।
[৫] এ বিষয়ে উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, ‘খামারে উৎপাদিত দুধ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের মাধ্যম হচ্ছে মিল্কভিটা ,প্রাণ, আড়ং, আকিজসহ একাধিক বেসরকারি কোম্পানি। করোনায় জনজীবন ও যানবাহন স্থবির হওয়ায় কোম্পানি গুলো খামারীদের কাছে পূর্বের তুলনায় দুধ সংগ্রহ কমিয়ে দেয়ায় এই সঙ্কট তৈরী হয়েছে।
[৬] উপজেলার খামারিদের তথ্যানুসারে, করোনাভাইরাস জনিত সমস্যার আগেও পাইকারি হিসেবে প্রতি লিটার দুধ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হতো। এখন তা খুচরা বাজারে ২০ থেকে ২৫ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। তাও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জোর করে দিতে হচ্ছে। এরপরও বিপুল পরিমাণ দুধ অবিক্রীত থাকছে । এতে খামারিরা দুধ বিক্রিতে বেশ অসুবিধায় পড়েছেন। সম্পাদনা: ইস্রাফিল
আপনার মতামত লিখুন :