ডেস্ক নিউজ : [২] করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে কিস্তিতে করপোরেট কর পরিশোধ, ব্যক্তি শ্রেণীর আয়কর মওকুফের সীমা বৃদ্ধি এবং করোনা রোগীকে যে সব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী সেবা দিচ্ছেন তাদের বিশেষ বোনাস দেয়ার সুপারিশ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একই সাথে হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে সময় নির্ধারণ করে চলতি ও আগামী অর্থবছরে কর রেয়াত দেয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটের জন্য বেসরকারি এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে রোববার একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করেছে। নয়া দিগন্ত
[২] সিপিডির পক্ষ থেকে দেশে অর্থনীতির একটি নাজুক চিত্র তুলে ধরা হয়। বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। এর ফলে আগামীতে কাস্টমস ডিউটি, ভ্যাট আদায় এবং সম্পূরক শুল্ক থেকে রাজস্ব আহরণ কমে যাবে। কারণ দেশে ইতোমধ্যে আমদানি-রফতানি আয় কমে গেছে। করোনার কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, মানুষের চাকরিচ্যুতি ঘটবে, কমে যাবে আয়কর আদায়ের হার। শুধু তা-ই নয়, বেসরকারি ও বহু জাতিক কোম্পানিগুলোর আয় কমে যাওয়ার কারণে করপোরেট কর আদায়ও কমবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি প্রায় এক লাখ কোটি টাকা ছুঁয়ে যাবে। একই সাথে বেড়ে যাবে বাজেট ঘাটতি। চলতি অর্থবছরে বাজেটে এই ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে জিডিপির অংশ হিসেবে ৫ শতাংশ। কিন্তু সিপিডি বলছে, এই ঘাটতি সাড়ে ৫ শতাংশে পৌঁছতে পারে।
[৩] এই পরিস্থিতিতে সিপিডির পক্ষ থেকে আগামী অর্থবছরে বিভিন্ন শ্রেণীর আয়করদাতাদের কিছু সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। যেমন বর্তমানে ব্যক্তি শ্রেণীর আয়কর মওকুফের সীমা আড়াই লাখ টাকা। সিপিডি এই সীমা বাড়িয়ে আগামী অর্থবছরে তা সাড়ে তিন লাখ টাকায় উন্নীত করার কথা বলেছে। একই সাথে আয়করের প্রথম তিনটি সø্যাব পরিবর্তনেরও সুপারিশ করেছে সিপিডি। বিদ্যমান সø্যাব ১০, ১৫ ও ২০ পরিবর্তে, ৫, ১০ ও ১৫ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
[৪] সিপিডি শঙ্কা ব্যক্ত করে বলেছে, আগামী অর্থবছরে কর হার বা করের আওতা বাড়ানো সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। এর পরিবর্তে এনবিআরের উচিত হবে কর মনিটরিং জোরদার করা যাতে বিদ্যমান করদাতারা যেন কর ফাঁকি দিতে না পারে এবং আমদানি-রফতানির নামে মুদ্রা পাচার যেন না ঘটে।
[৫] এনবিআরের উচিত করোনার কারণে যে সব কৃষিভিত্তিক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের কর রেয়াত সুবিধা দেয়া। এ ক্ষেত্রে তাদের মার্চ-জুন প্রান্তিকে ভ্যাট মওকুফ করে দেয়া যেতে পারে এবং এই মওকুফ আগামী অর্থবছরে অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :