লীনা পারভীন : আমি দেশ নিয়ে আশাবাদী একজন মানুষ। কারণ কী জানেন? কারণ আমাদের দেশের কিছু প্রাকৃতিক গুণাবলী আছে আর সেগুলো দিয়েই আমরা আর অন্য যেকোনো দেশ থেকে আলাদা হয়ে যাই। এর প্রমাণ মিলে যেকোনো দুর্যোগ বা বিশেষ পরিস্থিতিতে। কেবল যা দরকার তা হচ্ছে সঠিক নেতৃত্ব। এর অভাবেই আমরা এখনো এগোতে চেষ্টা করেও পারছি না। যেমন দেখেন ১৯৭১ সালের কথাই ধরুন। আমাদের একমাত্র অস্ত্র ছিলো পাগলামী আর সে পাগলামীর পেছনে কেবল একবার ঢোকানো সম্ভব হয়েছিলো যে আমরা মুক্ত হতে চাই। কারও অধীনে আর থাকা চলবে না। সেই ঢোকানোর কাজটি কে করেছিলেন? আর কেউ নয়। ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারপরের বাংলাদেশের ঘটনা সবাই জানি। আবার এসেছে উত্তাল মার্চের মতো আমরা পেলাম বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে। তিনিও সেই নেতৃত্বের কাজটি করে যাচ্ছেন। তবে প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজন ভিন্ন বলে আজ আর একার উপর নির্ভর করলে চলছে না। তিনি একাই টানছেন এই গুন। ভাঙাচোরা দেশকে মেরামত করে চলেছেন দশানন আর দুর্গার ভূমিকায়। অথচ তিনি নির্ভর করতে চান, চেয়েছিলেন অনেকের উপর। পারছেন না। প্রশাসনের খোলস আবারও নগ্নভাবে সামনে এলো করোনা ইস্যুতে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিজেদের কাজটাই বুঝতে পারছে না এখনো। আবার তিনি। আবারও তিনি এলেন এগিয়ে। আমার অ্যানালাইসিস বলে, যেকোনো ঘটনায় তিনি আগে চান্স দেন সংশ্লিষ্টদের তারপর যখন দেখেন ঘটনার লেজেগোবরে অবস্থার দিকে যাচ্ছে তখন রাশ টেনে ধরেন ত্রাতার পোশাক পরে। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন প্রতি উপজেলা থেকে কমপক্ষে দুইজনের নমুনা সংগ্রহ করতে। সবাই সেটা মেনে চলার জন্য তৈরি হচ্ছেন। আমরাও প্রশান্তির একটুকরো নিঃশ্বাস নিলাম। যাক এবার হয়তো আমরা আবারও পারতে যাচ্ছি। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তারা কেন এমন করে ভাবলেন না? ভাবতে পারলেন না? কেন? মাথায় কী নেই তাদের? যেটা নেই সেটা হচ্ছে একজন নেতা হওয়ার যোগ্যতা। ঘটে মগজ আছে, কিন্তু সেটা কেবল অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য। আফসোস আমাদের যোগ্য লোকেরা যোগ্য জায়গায় যেতে পারের না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :