কামাল হোসেন, গোয়ালন্দ প্রতিনিধি : [২] দেশের ব্যাস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে দুই পাড় থেকে মাত্র দুটি ফেরি দিয়ে এম্বুলেন্সসহ অতি জরুরী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। জরুরী যানবাহন পারাপারের জন্য সীমিত আকারে ফেরি চলাচল চালু রাখা হলে ওই ফেরিগুলোতে করোনা ভাইরাস সংক্রামন ঝুঁকি নিয়ে ঠাসাঠাসি করে অসংখ্য যাত্রী পারাপার হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এই কড়াকড়ি আরোপ করে।
[৩] কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমান রোধে সারা দেশে লকডাউন চলছে। এতে করে এম্বুলেন্স ও পন্যবাহি ট্রাকসহ জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে ১৬টি ফেরির মধ্যে ৫টি ফেরি চালু রাখা হয়েছিলো। সীমিত আকারে ফেরি চলাচল চালু থাকার সুযোগে জরুরি যানবাহনের চেয়ে সাধারণ মানুষই নদী পারাপার হয়।
[৪] (৫এপ্রিল) রোববার দেশের পোষাক কারখানা খোলা থাকার ঘোষণায় শনিবার দুপুরের পর থেকে পোষাক শ্রমিকসহ হাজারো মানুষ করোনা ভাইরাস সংক্রামণের ঝুকি নিয়েই গাদাগাদি করে ফেরিতে নদী পারাপার হয়।
[৫] এদিকে পোশাক কারখানা খোলা থাকার ঘোষণা থাকলেও শনিবার রাতে ফের বন্ধের ঘোষণা করা হয়। ফলে রাজধানীতে যাওয়া পোষাক শ্রমিকরা রোববার আবর ঘরমুখি ফিরতে শুরু করে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে ফেরির সংখ্যা কমিয়ে মাত্র দুটিতে নামিয়ে আনা হয়।
[৬] বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, এম্বুলেন্স ও অতি জরুরী যান পারাপারের জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে একটি ও পাটুরিয়া ঘাটে একটি ফেরি রাখা হয়েছে। এছাড়া জনসমাগম বন্ধ করতে ঘাটে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :