আরিফুল ইসলাম, সরাইল প্রতিনিধি : [২] জেলার করোনায় অঘোষিত লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার খেটে খাওয়া মানুষ। উপজেলার নয় ইউনিয়নে এসব মানুষদের মধ্যে সিংহভাগ মানুষের ঘরে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
[৩] ইতোমধ্যে সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি এখানে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মহীন পরিবারগুলোতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তবে উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে এ পরিস্থিতিতে চাহিদার তুলনায় সরকারি সাহায্য একেবারেই কম। ফলে কর্মহীন হতদরিদ্র পরিবারের লোকজন ত্রাণ পেতে ছুটছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে। অনেকে ত্রাণ না পেয়ে জনপ্রতিনিধিদের ওপর ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। এ অবস্থায় বেকায়দায় পড়েছেন মাঠ পর্যায়ের এ জনপ্রতিনিধিরা।
[৪] এরই মাঝে রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. কাজল চৌধুরী সরকারি ত্রাণ নিয়ে ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্যে তার ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
[৫] তিনি লিখেছেন, "প্রিয় নোয়াগাঁও ইউনিয়নবাসী আমি আজ অসহায়। সরকারের পক্ষ থেকে শুধু মাত্র ১০০ জন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে তালিকা প্রস্তত করার জন্য বলা হচ্ছে। আমরা তালিকা প্রস্তুত করেছি।
[৬] এখন পর্যন্ত আর কোনো ত্রানসামগ্রী দেওয়া হয় নাই। সরকারের পক্ষ থেকে যখনই আমাদের কাছে ত্রাণসামগ্রী আসবে, সঙ্গে সঙ্গেই ত্রান বিতরণ করবো। আপনারা একটু ধর্য্য ধরুন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে এই করোনা ভাইরাস নামক গজব থেকে মুক্ত করেন। সকলেই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন।"
[৭] ইউপি চেয়ারম্যানের এ স্ট্যাটাসের জবাবে মোহাম্মদ রনি নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, "সরকারের দিকে এখন তাকিয়ে থাকার সময় নাই, আপনি উদ্যোগ নিয়ে এলাকার ধনাঢ্য ব্যাক্তিদের কাছ থেকে টাকা তুলে বড় আকারে একটা বাজেট করুন। আর সেই বাজেটে দরিদ্র মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করুন।" সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :