একেএম শামসুদ্দিন : করোনাভাইরাস পৃথিবীজুড়ে মহামারী আকারে প্রকম্পিত করে তুলেছে। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে মানুষের মনে নানা রকম প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। কেউ একে পরাশক্তিদের ইরড়ষড়মরপধষ ধিৎভধৎব বলার চেষ্টা করছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে যে যাই বলুকÑ এ মহাআপদ থেকে রক্ষা পাওয়াই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। সে জন্য যা কিছু করণীয় তা কি আমরা করছি? সরকার থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত পর্যায় পর্যন্ত আমরা বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে সরকার গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে আমরাই বা কতোটুকু সহযোগিতা করছি?
করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুজবেরও হাত-পা গজাচ্ছে। এ জন্য গুজব রচনাকারীদের কতোটুকুই বা দোষ দেওয়া যায়? একটা কথা মনে রাখলে ভালো হয়, ‘যেকোনো সঠিক তথ্যের গোপনীয়তা গুজবের জন্ম দেয়, আবার গুজব কিন্তু অর্ধ সত্যের উপর ভর করে প্রতিষ্ঠিত হয়’। অর্ধ সত্যের সঙ্গে মানুষের কল্পিত ধারণা তখন মিলে মিশে প্রকৃত ঘটনা গুজবে রূপ নেয়। গুজবের প্রক্রিয়াটাই এমন। যেমন অর্ধ সত্য ঘটনার তথ্য প্রথমে মানুষের কাছে পৌঁছে, মানুষ তখন তা অনায়াসে গ্রহণ করে এবং এরই সঙ্গে সমাজে ভাসমান ধারণাপ্রসূত তথ্যগুলো তখন একে একে সত্যের সঙ্গে মিশে গিয়ে পুরো ঘটনাটাই বিশ্বাসযাগ্য করে গড়ে তোলে। মানুষ তখন তা বিশ্বাস করতে শুরু করে। এভাবেই গুজব ছড়িয়ে পরে। এটাই এ জগতে গুজব সম্পর্কে প্রতিষ্ঠিত সত্য কথা।
বাংলাদেশে এখন যা চলছে, উপরে উল্লেখিত উদ্ধৃতির সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে গুজব তৈরির আঁতুড়ঘর চিনতে আমাদের বেগ পেতে হবে না। এ জন্য বেশি লেখা পড়ারও প্রয়োজন নেই। প্রশ্ন হচ্ছে তথ্য গোপন করে লাভ কী? লাভের খাতা খুলে সে হিসাব এ মুহূর্তে দেওয়া যাবে না। তাতে কিছুটা মুশকিল আছে। লাভ যে কী তা হয়তো আমরা কিছুদিনের মধ্যে জানতে পারবো। শুধু আমাদের ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। তখন চিহ্নিত বিবৃতিদাতাদের বিবৃতি শুনেই আমরা বুঝতে পারবো ‘লাভ এবং ক্ষতি’ এতোদিন কোথায় লুকিয়ে ছিলো। ফেসবুক থেকে