আহসান হাবিব : করোনা কিংবা যেকোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া যতো পরিভ্রমণ করবে ততো তাদের সংক্রমণ ক্ষমতা কমে যাবে। এটা একটি প্রাকৃতিক নিয়ম, রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। উহান থেকে করোনা ইউরোপের দিকে যাত্রা করে, সেখান থেকে ধীরে ধীরে এশিয়ার দিকে পা বাড়ায়। এরই মধ্যে সে পেছনে ফেলে আসতে চলেছে প্রায় ৩ মাস। তাই ইউরোপের দেশগুলোকে সে যেভাবে আক্রমণ করেছে এবং এখনো করছে, সেই তুলনায় এশিয়ায় করতে পারছে না। এই না পারার পেছনে নানা ফ্যাক্টর কাজ করছে, সে সব আমাদের পরিষ্কার জানা নেই। তবে ভ্রমণকাল এবং দূরত্ব একটি বড় ফ্যাক্টর। আবহাওয়া, ইমিউনিটিসহ অজানা অনেক কারণ থাকতে পারে। আর একটা বড় কারণ হচ্ছে এর মধ্যে গণসচেতনতা বেড়েছে এবং সংক্রমণ ঠেকাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ যদিও এখানে সংক্রমণ অন্যান্য দেশ থেকেকম। এই কম হওয়ার পেছনে কেউ কেউ পরীক্ষা করে শনাক্ত না করাকে দায়ী করছে।
সংক্রমণ হার কম হলেও করোনার নিজে থেকে দুর্বল হওয়াকে পুঁজি করে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে কোনো শৈথিল্য দেখানো হবে বোকামি যা আমাদের দেশ দেখিয়ে চলেছে। নানা অজুহাত দেখিয়ে মানুষ বিধি উপেক্ষা করছে। কম হলেও প্রতিদিনই কিন্তু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে আশার কথা করোনা শনাক্ত করার সীমা বাড়ছে, বাড়ছে অন্যান্য ব্যবস্থা। সত্য হচ্ছে আমরা করোনার ঝুঁকিতে রয়েছি, সুতরাং একে প্রতিরোধের সব উপায় আমাদের মেনে চলতে হবে। সামান্য শৈথিল্যে নেমে আসবে মহাবিপদ যাকে ঠেকানোর ক্ষমতা আমাদের খুব সামান্যই। প্রতিরোধই আমাদের প্রধান অস্ত্র। সুতরাং এই সময় একটাই কাজ বাসায় থাকা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :