সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সারাবিশ্বে করনো পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এযাবৎ বিশ্বে ১১ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে। এযাবৎ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের মতো দেশে যে ভয়াবহ অবস্থা সেই তুলনায় বাংলাদেশ আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছে।
[৩] তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১টি নির্দেশনা মেনে এক যোগে সঙ্গবদ্ধভাবে অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করছি। ঘরে আমরা সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে সুরক্ষিত থাকবো। কোনো অবস্থাতেই শঙ্কিত হওয়া চলবে না। সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। দেশবাসী যাতে নিজেদের ভালোর জন্য সুদিনের আশায় সাময়িক ত্যাগ স্বীকার করবেন। এভাবে এগিয়ে গেলে অচিরেই দেশের অবস্থা ভালোর দিকে যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে নিয়ম-কানুন মেনে চললে অবশ্যই আমরা এই মহাসংকট থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারব। নিজেদের জীবন জানমাল রক্ষ করতে পারব।
[৪] কাদের বলেন, দেশের জনগণ, যাত্রী সাধারণ, পরিবহন মালিক শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগতির জন্য জানাচ্ছি আগে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় জন স্বার্থ বিবেচনায় আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী সব প্রকার যানবাহন চলাল বন্ধ রাখার অনুরোধ করছি। এই সময়ের মধ্যে যানবাহনের ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স উত্তীর্ণ হলে জরিমানা ছাড়াই নির্ধারিত ফি ও কর দিয়ে ৩১ জুন পর্যন্ত ফিটনেস নবায়ন ও লাইসেন্স আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সবাইকে এব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। এছাড়াও জরুরি সার্ভিসের আওতায় পণ্যবাহী ট্রাক, ওষুধ, জ্বালানি, পচনশীল দ্রব্য ত্রাণবাহী গাড়ী অ্যাম্বুলেন্স নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। তবে কোনো অবস্থাতেই পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন করা যাবে না বলে জানান।
শনিবার তার সরকারি বাসভবনে তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :