আশরাফ আহমেদ, হোসেনপুর প্রতিনিধি : [২] উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ চরাঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণে সবজির চাষ হয়ে থাকে।ফলে এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে উপজেলার দোকানপাট ,হাটবাজার গত দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকায় মারাত্নক প্রভাব পড়েছে ব্যবসা বাণিজ্যে। ফলে সবজির বাজার দর খুবই কম থাকায় উৎপাদিত সবজির কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ স্থানীয় সবজি চাষিরা।
[৩] উৎপাদিত সবজি পণ্য পরিবহনেও দেখা দিয়েছে প্রতিবন্ধকতা। এ পরিস্থিতিতে কাঁচাবাজার খোলা থাকলেও বেচাকেনা হচ্ছে কম।ক্রেতা কম থাকায় অধিকাংশ সবজিই নষ্ট হচ্ছে। এতে ভালো নেই সবজি বিক্রেতারাও।
[৪] হোসেনপুর পৌরসদর বাজারসহ উপজেলার বেশকটি বাজারে দেখা গেছে, বাজারে চিচিংগা, করল্লা, টমেটো, বেগুন, ঢেড়স, আলু, কুমড়া, মিষ্টি লাউ, লাউসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ সবজি রয়েছে।কিন্তু সবজির তুলনায় ক্রেতা কম। এতে অধিকাংশ কাঁচামাল নষ্ট হয়ে লোকসানে রয়েছেন বিক্রেতারা।
[৫] এসময় চর বিশ্বনাথপুর গ্রামের সবজি চাষী রুকনুদ্দিন, চর জামাইল গ্রামের হানিফ, বড়ুয়া গ্রামের কাজল, সবজি চাষী বেলালসহ অনেকেই জানান ,পাইকারি দরে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩-৪ টাকা কেজি, করল্লা ১৪-১৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৭-৮ টাকা, চিচিংগা ১৭-১৮ টাকা, ঢেড়স ২০-২২ টাকা, টমেটো ৫-৭ টাকা কেজি, কুমড়া ১৫-১৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
[৬] হোসেনপুর পৌরসভা বাজারের পাইকারি বিক্রেতা রেনু, জামাইল বাজারের কাশেম , মজিদসহ অনেকেই জানান, কৃষকের কাছ থেকে সবজি ক্রয় করে ক্রেতার অভাবে বিক্রয় করতে না পেরে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিক্রয়ের অভাবে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে ও জানান তারা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :