শিমুল মাহমুদ : [২] প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শতাধিক আলেমকে দাওয়াত দিয়েছি। অনেকে এসেছেন, অনেকে আসতে পারেননি, ইমেলের মাধম্যে তাদের মতামত দিয়েছেন। কিন্তু জামাত বন্ধে ঐক্যমত হতে পারেননি। তবে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মের লোকদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা তাদের ধর্মীয় প্রার্থনা বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছেন।
[৩] মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, মিরপুরে যিনি মারা গেলেন, তিনি মসজিদ থেকে সংক্রমিত হয়েছেন। মসজিদে অপরিচিত কতো মানুষেই তো যাচ্ছেন। আক্রান্ত কোন ব্যক্তি যদি হাঁচি-কাশি দেয় তা হলে ভাইরাসটা মসজিদের ফ্লোরে পরে। মুসল্লি যখন সেজদা দিবে তখন ভাইরাসটা তার নিঃশ্বাসের মাধম্যে প্রবেশ করবে। এরপর আক্রান্ত ব্যাক্তি ঘরে আসবেন তার ছেলে মেয়ে আছে। এরপর পরিবার থেকে গ্রাম থেকে গ্রাম, এরপর সারা দেশে।
[৪] কারওয়ান বাজার আম্বরশাহ শাহী জামে মসজিদের খতীব ওমহাদ্দিস মাওলানা মাজহারুল ইসলাম বলেন, মুসনাদে আহমদ (৫৮৮) হাদিসের বলা হয়েছে, যে জায়গায় মহামারি হয় এই জায়গায় তোমরা অধিক পরিমান যেও না এবং যখন তাদের সঙ্গে কথা বলবে এক বর্শা পরিমান দূরে থেকে কথা বলবে।
[৫] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ আবুল কালাম বলেন, আমাদের দেশের মানুষ গুলো হানাফী মাযহাবের অনুসরন করেন। এ কিতাবে বলা হয়েছে, ১৮ টা কারণ থাকলে জামায়াত ত্যাগ করা যায়। এরমধ্যে : কর্দমাক্ত হওয়া, বৃষ্টি, ঠান্ডা, ভয়, রোগ, ঝড়, বন্যা এরকম কত গুলো।
[৬] তিনি বলেন, বুখারী শরীফে আছে যখন কোনো মহামারি হয় তখন আক্রান্ত ব্যাক্তি ধৈর্য্যশীল হয়ে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাকবে। আর এর জন্য যুদ্ধের ময়দানে শাহাদাতকালে যে সওয়াব পায় সে এ সওয়াব পাবে। সূত্র: ডিবিসি, রাজকাহন
আপনার মতামত লিখুন :