রাজু চৌধুরী : [২] অহেতুক সড়কে ঘোরাঘুরি করায় ৭ জনকে জরিমানা করেন আদালত। গতকাল নগরীর চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, খুলশী এবং বাকলিয়া থানা এলাকায় এ অভিযান চলে। চান্দগাঁও থানার সামনে ২ জন, জিইসি মোড়ে ২ জন এবং লালখান বাজার মোড়ে ৩ জনকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, সরকারি নির্দেশনা না মেনে সড়কে মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেট কার নিয়ে বের হয়েছিলেন তারা। যৌথ বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে বের হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় তাদের মোট ৯ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
[৩] চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আরও ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ডবলমুরিং, বন্দর এবং ইপিজেড থানায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান। অভিযানে তার সঙ্গে ক্যাপ্টেন তাজের অধীনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। কাটগড় এলাকায় বাড়তি দামে মাংস বিক্রি করায় এক দোকানিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
[৪] চকবাজার, বায়েজিদ, সদরঘাট, এবং কোতোয়ালী থানা এলাকায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা। তার সঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন। আন্দরকিল্লার হাজারী গলি এলাকায় হোটেল খোলা রেখে খাবার পরিবেশনের দায়ে ২টি হোটেলকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ৫টি অস্থায়ী ফুলের দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
[৫] পাহাড়তলী, আকবর শাহ এবং হালিশহর থানা এলাকায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিক-উর-রহমান। তার সঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন। হালিশহর এলাকায় হোটেল খোলা রেখে ভেতরে খাবার পরিবেশনের দায়ে মালিককে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
[৬] চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম জানান, হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার পাশাপাশি লোকজনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখতে চট্টগ্রামে প্রশাসন ও সেনাবাহিনী কাজ করছে। তিনি জানান, আগে এক শিফটে ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট সারাদিন নগরে দায়িত্ব পালন করলেও এখন দুই শিফটে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করছেন। কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব