লুৎফর রহমান হিমেল : ব্রিটেনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখন খুবই খারাপ অবস্থায়। এ মুহূর্তে ৩৩,৭১৮ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন ২,৯২১ জন। দেশটিতে করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত প্রতি চারজন ডাক্তারের একজন আক্রান্ত এখন। মারাও গেছেন ‘কয়েকজন’। এরপরও তারা পিছপা হয়নি। ২২ মার্চ এই পরিস্থিতির মধ্যেও অবসরে যাওয়া ৪০০০ নার্স এবং ৫০০ ডাক্তার আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন। সরকার বলেছে, এটি করোনাযুদ্ধে বড় কাজে দেবে। তাদের আরও চিকিৎসাজনবল দরকার। করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ইতালিতেও অন্তত ৬১ জন চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন। সংখ্যাটা প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে হাল ছাড়েনি চিকিৎসকরা। এমন মহামারীদিনে মানবতার কাজেই যদি না লাগে সেই ডাক্তারি বিদ্যা দিয়ে আসলে হবেটা কী? এটিই তাদের মূল স্লোগান এখন। যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরাও পণ করে নেমেছেন করোনাযুদ্ধে।
দেশটির এক চিকিৎসকের কথা শুনলাম একজনের ফেসবুক লাইভ থেকে। তাতে দেখা যাচ্ছে এক শিশুকে টেলিমেডিসিন দিচ্ছেন এক চিকিৎসক। তিনি নিজেও বারবার কাঁশছেন, তারপরও ওই পরিবারকে ওভার দ্য ফোনে চিকিৎসার যাবতীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন। রোগীর পরিবার যখন জানতে চাইলো, আপনি কাঁশছেন কেন? তখন ডাক্তার জানালেন যে, তিনি চিকিৎসা দিতে গিয়ে নিজেও করোনায় আক্রান্ত। এটিই হচ্ছে একটি মহান পেশার উজ্জ্বল দিক। আমাদের দেশে এ রকম গল্প যদি থাকে, এখানে শেয়ার করতে পারেন। পড়তে চাই, উজ্জীবিত হতে চাই। হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতে, চিকিৎসা না পেয়ে, ধুঁকে ধুঁকে মারা যাচ্ছেন এ রকম স্টোরিই শুধু চোখে পড়ছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :