শরিফুজ্জামান শরীফ : সম্প্রতি সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, জনপ্রশাসন এবং কোথাও ব্যক্তিগত উদ্যোগে গরিব মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও আন্তরিক উদ্যোগ আছে দুকেটা আর্টিফিসিয়াল টোন আছে। ওইদিকে না যাই। লকডাউন শুরু হলো ২৫ মার্চ। সরকার তার দু-তিন দিনের মধ্যে খাবার পৌঁছে দিতে সক্রিয় হলো। কাজটা ভালো এবং ভালো। একটু ভেবেছেন আমাদের দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ তিনদিন কাজ করতে না পারলে তার চুলায় হাঁড়ি উঠে না। সরকারের যে আমলা দুদিন আগে তার অফিস থেকে যাকে বের করে দিলো, যে সংসদ সদস্য তার দিকে তাকালো না তার বাড়িতে কাঁধে বস্তাসহ খাবার দিয়ে আসছেন। খাবারের জন্য কোথাও মিছিল হয়েছে? সার্ভে? স্টাডি? সড়ক অবরোধ? না। তার পরও বাড়িতে বাড়িতে খাবার নিয়ে গেছেন। কারণ তারা পরিস্থিতি জানেন। গত ক’বছর সরকারের লোকজনের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয়েছে এই পয়েন্টে। তারা বলেছে, মানুষ ভালো আছে, একজন মানুষ দিনে ছয়শ-সাতশ টাকা আয় করে। আমরা বলেছি, আংশিক সত্যি। বারবার বহু আলোচনায় বলা হয়েছে, একটা বাংলাদেশের মোড়কে দুটো বাংলাদেশ হয়েছে।
একটা দেশের মালিকরা আনন্দ করতে মাসে কোটি টাকার মদের বিল দেয়, আরেকটা বাংলাদেশের নাগরিক একদিন কাজ না পেলে উপোস থাকে। সরকার-সরকারি বুদ্ধিমান লোক- সরকারের মন্ত্রী দলের এ-বি-সি-ডি ক্যাটাগরির নেতারা মানেনি। আমরা বলেছি, মানুষের আয় বেড়েছে সত্যি। কিন্তু তার সেভিংস নেই, কেন নেই সেটা বের করেন। সরকারের লোকজন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে। দেশের বহু জায়গায় দেখবেনÑ সাইনবোর্ড। ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা, ভিক্ষুকমুক্ত জেলা। নির্বাহী আদেশে ভিক্ষুক দূর করা যায়-ক্ষুধা দূর করা যায় না। এটা তাদের মাথায় ঢোকেনি। তারা দারিদ্র্য না তাড়িয়ে দরিদ্র তাড়িয়েছে। এটা সত্যি যে, আমাদের দেশে একটা শ্রেণির বিকাশ ঘটেছে তারা ছয় বছর দেশ লকডাউন থাকলেও সমস্যায় পড়বে না। তারা যা আয় করেছেÑ সাতপুরুষ বসে খেতে পারবে। কিন্তু আপনি যে পিপলকে মিন করেন- তিনদিন কাজ না করলে তার চুলা জ্বলে না। আপনাকে ঢাকা থেকে এসে কাঁধে বস্তা নিয়ে ছুটতে হয়। দেখলেন? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :