আবু হাসান শাহরিয়ার : আশঙ্কা ছড়াবেন না। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশ করোনার ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গও। অর্থাৎ এ বছর নতুন করে কোনো বাঙালিকে শিকার বানাতে পারবে না কোভিড-১৯। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ বা ১৪২৭ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন থেকে এ দুটি জনপদ করোনাঝুঁকি থেকে ৯৯ শতাংশ মুক্ত থাকবে। আবার বলছি, থাকবেই। বলুন জয় বাংলা। এর পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এই যে, এ ভাইরাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মারা যায় এবং ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংক্রমিত হওয়ার শক্তি হারায়। এ যাবৎ যারা যখন যে দেশে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন, সেইসব জনপদের তাপমাত্রা তখন ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিলো। মরুর দেশ সৌদি আরবেরও। একথা আমার নয়, এ পর্যন্ত করোনা বিষয়ে স্বদেশ-বিদেশের গবেষকরা যতো কথা বলেছেন, তার সারকথা। পদ্মাপারের প্রকৃতি আর সবুজ বাতাসও আমার কানে কানে একই কথা বলেছে। এপ্রিলের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে যদি কারও শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়, ধরে নিতে হবে, গত মাসে তাদের শরীরে এ ভাইরাস অনুপ্রবেশ করেছে। মধ্য এপ্রিল বা ১৪২৭ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন থেকে এপার-ওপার দুপার বাংলায় ফের ঢেউ ঢেউ জীবন ফিরে আসবে। আশঙ্কায় নয়, জীবনের বসতি আশা ও স্বপ্নে।
তারপরও কথা থাকে। করোনা প্রতিরোধে হাত পরিছন্ন রাখাসহ আর যা যা সতর্কতা পালন করছিলেন, হুট করে তা ছেড়ে দেবেন না। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং নিজ নিজ দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশাবলী মেনে চলুন। রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানসহ বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সব সমাবেশমূলক অনুষ্ঠানও পরিহার করতে হবে এ বছর। মুজিববর্ষের সূচনালগ্নে সতেরো মার্চ যেমনটা করেছি আমরা। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনাও তার এক ভাষণে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। ১৪২৭ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখ বাঙালিকে করোনার ভয়াবহতা থেকে মুক্তি দিতে আসছে। আসুন এখন থেকেই আমরা ‘এসো হে বৈশাখ...’ গেয়ে বাংলা নবর্ষকে স্বাগত জানাই। আর কোটিপ্রাণে রচিত গাছ-নদীসহ প্রকৃতির সব সদস্যকে ভালোবাসতে শিখি। পৃথিবী সবার। ক্ষুদ্র কীটকেও অধিকারবঞ্চিত করা অন্যায়। স্বরচিত ‘শ্রেষ্ঠতা’বশত ভুললে চলবে না, মানুষও প্রকৃতির সন্তান। বলুন জয় প্রকৃতি, জয় সবুজ বাতাস। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :