শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৪ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৪ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জীবনের জন্য ঘরে থাকুন

মো. গোলাম সরয়ার : যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা আজ হোয়াইট হাউসকে অবহিত করেছেন যে, করোনাভাইরাস শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে, এমনকি কথাবার্তার মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর আগে বলা হয়েছিলো, এ ভাইরাস কেবল হাঁচি বা কাশির দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা ইদানীং নিজেদের কোনো একক ধারণার উপর স্থির থাকতে পারছেন না। আসলে যুক্তরাষ্ট্রের কিংবা ইউরোপের যে অবস্থা যাচ্ছে, তাতে এখন স্থির থাকার উপায়ও নেই। করোনাভাইরাস যে যে পদ্ধতিতে ছড়াতে পারে এ পর্যন্ত বলা হয়েছে, তার পঞ্চাশ শতাংশও যদি সত্যি হতো তবে এতোদিনে আমাদের অবস্থা ইউরোপকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আমাদের অবস্থা এখনো অস্থির নয়। বাংলাদেশে বহুমতের বহুপক্ষ কাজ করেন। কিছু মানুষের চাওয়া যেন, লাখে লাখে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হোক, হাজার হাজার মানুষ মারা যাক। কিংবা নিদেন পক্ষে সে রকম খবর হোক। বহুজন বিশ্বাসও করেন, দেশে হাজার হাজার করোনা রোগী কিলবিল করছে আর সরকার সেসব খবর লুকিয়ে রেখেছেন। কিন্তু আমরা সারাদিন মূলধারার নিউজগুলো মনিটর করি, সামাজিক মাধ্যমও মনিটর করি। আমরা যেটা দেখতে পাই, এখনো সে রকমের অবস্থা এ দেশে বিরাজ করছে না। তবে মানুষের মাঝে ভীতি আছে। আবার এটিও সত্য যে, সরকার যে সংখ্যাটা বলছেন মূল সংখ্যা তার চেয়ে বেশি হওয়ারই সম্ভাবনা। এটি অবশ্য শুধু বাংলাদেশের জন্য সত্য নয়। এটি খোদ ইতালি, যুক্তরাষ্ট্রসহ বাকি বিশ্বের জন্যও সত্য। যুক্তরাষ্ট্রেও আজ যে সংখ্যাটা বলা হচ্ছে মূল সংখ্যা তার চেয়েও অনেকগুণ বেশি হবে। সেখানেও এখনো যাদের টেস্ট করা সম্ভব হয়নি তাদের সংখ্যাটা আসছে না। কাল তাদের ভেতরে যাদের টেস্ট করা হবে তারা গণনাতে চলে আসবে। এটি হলো সক্ষমতার সত্যের ব্যাপার। বাস্তবতা হলো পৃথিবীর সাতশ আশি কোটি মানুষের করোনা টেস্ট পৃথিবীর সব দেশ মিলেও এতো অল্প সময়ে করা সম্ভব নয়।
আমরা দেখছি, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা রকেট গতিতে এগোচ্ছে। সেখানে শুধু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে না, মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে অসম্ভব দ্রুত গতিতে। তাদের তুলনায় বাংলাদেশ এখনো স্বর্গ। কিন্তু এই স্বর্গ আমাদের জারি রাখতে হবে। জারি রাখতে হলে আমাদের সরকারের সুপারিশকৃত স্বাস্থ্য বিধিগুলো মেনে চলতে হবে। আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে, যতো অঙ্কের হিসাবই আসুক না কেন, আমাদের অবস্থা তাদের মতো হবে না। আমরা লক্ষ্য করেছি, জাতিসংঘ কিংবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বিভিন্ন সময় আমদের ভর্ৎসনা করে বলে থাকেন, আমাদের দেশে সামাজিক ব্যবস্থা দুর্বল, সামাজিক দূরত্ব মেনটেইনের ব্যাপারগুলোও আমাদের মানুষেরা জানে না কিংবা সচেতন নয়। অথচ চীনের উহান থেকে ভাইরাসটি সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটার দূরের ইউরোপে গিয়ে তা-ব চালাচ্ছে আর বারো হাজার কিলোমিটার দূরত্বের আমেরিকায় গিয়ে কেয়ামত করছে অথচ আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরের বাংলাদেশ সে তুলনায় এখনো প্রায় নিরাপদে। কিন্তু চায়না ছিলো আমাদের ইমপোর্ট হাব, ছিলো আমাদের সঙ্গে বেপরোয়া যোগাযোগ। আরও আশ্চর্যের ব্যাপার হলো পৃথিবীর পাঁচটি মহাসাগরে হাজার হাজার জাহাজ থাকলেও করোনা ভাইরাস ঠিকই খুঁজে ধরলো প্রশান্ত মহাসাগরে মোতায়েত যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী ‘থিউডর রুজবেল্ট’কে। তার মানে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আমাদের নিয়ে করা কমেন্টগুলো এখানে এখনো কাজ করছে না। কাজ করছে তাদের দৃষ্টিতে এ গ্রহের সবচেয়ে যোগ্য দেশগুলোতে। এগুলো হলো আমাদের অ্যানালাইসিস এবং হাইপোথিসিসি। আমরা স্বপ্ন দেখতে চাই এসব হাইপোথিসিস আমাদের পক্ষে কাজ করবে। তবে আমাদের স্মরণ রাখতে হবে নগর পুড়লে দেবালয়ও এড়ায় না। আবার আশপাশের বাড়িতে আগুন লাগলে তার তাপে আমাদেরও মুখ পোড়া যেতে পারে। তাই আমাদের আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে। আমাদের আরও দুটো সপ্তাহ ধৈর্য ধরে ঘরে থাকতে হবে, বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে, সাবধানে থাকতে হবে এবং নিরাপদে থাকতে হবে। অনেক বড় বিপদ এড়াতে হলে অনেক বেশি ত্যাগ করতে হয়। আমাদের অনেক ত্যাগ করতেও হচ্ছে না। শুধু কয়েকটি দিন কষ্ট করে ঘরে থাকতে হবে। আমরা হয়তো খাওয়ার কষ্টে আছি, আয়ের কষ্টে আছি, মেনে নেওয়ার কষ্টে আছি, কিন্তু জীবনের জন্য এ সব স্বপ্ন সময়ের তরে আমাদের মেনে নিতেই হবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়