হিলি প্রতিনিধি : [২] করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে চলছে অঘোষিত লকডাউন। উপজেলা প্রশাসন সরকারের সব পদক্ষেপ যেন সফল হয়েছে। তাই এই উপজেলার চিত্র পুরোপুরি বদলে গেছে। নেই কোন কোলাহল, কর্মব্যস্ততা ও হাকডাক। সর্বত্র এখন চলছে পিনপতন নিরবতা।
[৩] করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি ও সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিতকরণে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে টহল জোরদার করার ফলেই সবাই যেন হোম কেরায়ারান্টাইনে এমনটাই মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। একান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। বের হলেও মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরুত্ব বজাই রেখে চলছে তারা।
[৪] সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ৩ টি ইউনিয়নে প্রায় ২ লক্ষ লোকের বসবাস। উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে হাটবাজারগুলোতে নেই কোন লোকের সমাগম। সবাই এখন ঘরমুখি। উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ সচেতনতার লক্ষে প্রচার প্রচারণার জন্য শহর ও হাট বাজারে গত কয়েকদিন যাবত নিয়মিত মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করার ফলেই সবাই ঘরমুখি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জানপ্রতিনিধিরা।
[৫] উপজেলার জাংগই, ছাতনী চারমাথা, খাট্রাউছনা ও মংলা বাজার ঘুরে দেখা যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার বাজারগুলোতে নেই কোন লোকের উপস্থিতি। দু’ এক জন ঘর থেকে বের হয়েছেন তাও মাস্ক পড়ে ওষধ ও নিত্য প্রয়োজনী পণ্য কেনার জন্য। আকরাম হোসেন নামের এক ব্যাক্তি জানান, আমাকে প্রতিদিন প্রেসার ও গ্যাসের ওষধ খেতে হয়। তাই ওষধ কেনার জন্য বাজারে এসেছি। তাছাড়া বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হইনা।
[৬] হাকিমপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ জানান, পুলিশ সবসময় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির ও সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছে।
[৭] এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত জনগনের দারোগোড়ায় যাচ্ছি। এবং সচেতনামূল মাইকিং ও প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। সেই সাথে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে তাই আমরা নিজে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গরীব অসহায়দের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি। এছাড়াও আমরা নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদাল চালিয়ে আসছি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :