এএফএম মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি প্রতিনিধি: [২] শুক্রবার দুপুর বেলা সাড়ে ১১ টায় সান্তাহার পৌরসভা চত্বরে পৌর মেয়র আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু ওই বৃদ্ধা ফাতেমা কে তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাতিজা গোলাম কিবরিয়ার হাতে তুলে দেন।
[৩] এ সময় উপস্থিত ছিলেন সান্তাহার পৌর সভার প্যানেল মেয়র মজিবুর রহমান, সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিসুর রহমান, পৌর কর্মচারী তুহিন ইসলামসহ অনেকে। বুধবার দেশের বিভিন্ন অন-লাইন ও পত্রিকার মাধ্যমে একটি সংবাদ ‘ভুলক্রমে ট্রেনে উঠে যশোরের বৃদ্ধা ফাতেমা ৮ দিন ধরে সান্তাহার পৌর ভবনে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
[৪] এ ব্যাপারে সান্তাহার পৌরসভা মেয়র আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, বৃদ্ধা মহিলা ২৫ মার্চ সান্তাহার স্টেশনে কান্নাকাটি করছিল। পরে তাকে রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে ৩১মার্চ সকালে সান্তাহার পৌরসভার একটি ঘরে রাখা হয়। তাকে দেখভালের জন্য এক পৌরসভার এক পিয়নকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এরপর ১ এপ্রিল যশোর সদর থানার মাধ্যমে যোগাযোগ করে ওই বৃদ্ধার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় তারা আসতে পারছিলেন না। শুক্রবার সকালে বৃদ্ধার ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাতিজা গোলাম কিবরিয়া মাইক্রো ভাড়া করে নিয়ে সান্তাহার আসেন। এরপর তাদের হাতে বৃদ্ধা ফাতেমাকে তুলে দেয়া হয়।
[৫] উল্লেখ্য, ২৪ মার্চ বৃদ্ধ ফাতেমা ঢাকার থেকে রেল স্টেশনে ভুলক্রমে উত্তরাঞ্চলের ট্রেনে উঠে ওই দিন সন্ধ্যায় সান্তাহার স্টেশনে আসে। করোনার প্রভাবে ২৫ তারিখ থেকে সকল গণপরিবহন বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে তিনি আর কোথাও যেতে না পেরে সান্তাহার স্টেশনে অপেক্ষা করেন। এক সময় ভয় পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন সান্তাহার স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে তাকে আশ্রয় দেয়। তার বাড়ি যশোর জেলা শহরের শংগরপুর গোলপাতা মসজিদের পাশে স্বামী মুক্তিযোদ্ধা মৃত শেখ খলিল মিয়া। তাঁর তিন মেয়ে, এক ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম দেলোয়ার হোসেন। সে ফেরিওয়ালা ব্যবসায়ী। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী
আপনার মতামত লিখুন :