ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও রাস্তায় না বের হওয়ার অনুরোধ উপেক্ষা করেই নানা অজুহাতে বেরিয়ে পড়ছেন মানুষ। শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর বাড্ডা, শান্তিনগর, পল্টন, জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, গুলশান, মিরপুর, সায়েদাবাদ এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন মোড়ে সেনা ও পুলিশের চেকপোষ্ট ছিল নজরে পড়ার মত। এতে প্রধান সড়কে তেমন একটা লোকজন না থাকলেও অলিগলিতে ছিল উঠতি বয়সী তরুণ ও যুবকদের ভীড়।
[৩] বিজয় স্মরনী মোড়ে সকাল থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক বিভিন্ন যানবাহনের আরোহী ও চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে বেশ কজন বাইরে বের হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে না পারায় তাদের ভৎসনা করা ও করোনা প্রতিরোধে বাসায় থাকার আহবান জানা পুলিশ। এছাড়া বেশকিছু বাইক ও প্রাইভেটকারের বিরুদ্ধে মোটরযান আইনে মামলা করা হয়েছে।
[৪] সেনা সদস্যরা বাজার পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে হ্যান্ড মাইকে বলছে, অযথা কেউ বাইরে বের হবেন না। কাজ না থাকলে বাসায় চলে যান। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। হাতে জীবানু নাশক স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। কোথাও রিকশা শ্রমিকদের থামিয়ে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানেটাইজার দিতে দেখা যায়। আবার কোথাও খাবার দিচ্ছেন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সাধারণ মানুষকে সোনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়।
[৫] আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, করোনার বিস্তাররোধে পুলিশের প্রত্যেক সদস্য যে ভাবে দেশ ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে আমি অত্যন্ত গর্বিত ও সম্মানিত বোধ করছি। তবে, জনগণকে সেবা প্রদানের পাশাপাশি নিজের, অধীনস্ত সদস্য, সহকর্মী এবং পরিবারের সর্বোচ্চ সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে প্রত্যেককে। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষকে বিশেষ পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে, যেনো কোনোভাবেই জনসমাগমের সুযোগ সৃষ্টি না হয়। সরকার নির্দেশিত সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এবং হোম কোয়ারেন্টাইন বাস্তবায়নে পুলিশের কার্যক্রমের বর্তমান সফল ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে অনুরোধ জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :