মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাভাইরাসের সংক্রোমণ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে সীমিত আকারের সেবা দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে সব ধরনের ব্যাংকি সেবা এখন মিলছে না। এ কারণে অনেক গ্রাহক ক্রেডিট কার্ডের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না।
[৩] তাই কার্ডধারিরা সুদবিহীন কিস্তি পরিশোধের সময় বৃদ্ধি, কিস্তি পরিশোধের সীমা কমানো, কিস্তির মেয়াদ বাড়ানো। এছাড়া ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা ও ঋণসীমাও বাড়ানো হয়েছে।
[৪] বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। ইতোমধ্যে সিটি ব্যাংক তাদের ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকদের কিস্তি পরিশোধের সীমা শিথিল করেছে। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক তাদের ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকদের কিস্তি পরিশোধের সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য ব্যাংকগুলোও এ ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
[৫] এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক অনলাইনে, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদিত বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধের সুযোগ দিয়েছে। এছাড়া তারা এটিএম থেকে নগদ টাকা তোলার সীমাও বাড়িয়ে দিয়েছে।
[৬] ওষুধ ও নিত্যপণ্য কেনার ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সীমা বাড়িয়েছে সব ব্যাংক। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এসব পণ্য কিনতে প্রতিদিন ১৫ হাজার টাকা খরচ করা যাবে। মাসে করা যাবে ১ লাখ টাকা।
[৭] যেসব আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক বিদেশে গিয়ে আটকা পড়েছেন তাদের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের সীমা বাড়ানো হয়েছে কোটার চেয়ে বেশি।
আপনার মতামত লিখুন :