শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ এপ্রিল, ২০২০, ০২:৩৩ রাত
আপডেট : ০৩ এপ্রিল, ২০২০, ০২:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দিনাজপুরের পার্বতীপুরে সরকারি হাসপাতাল করোনা আতঙ্কে ডাক্তার ও রোগী শূন্য

সোহেল সানী, পার্বতীপুর প্রতিনিধি :[২] উপজেলার ৫০ শষ্যার এই হাসপাতালে রোগি না থাকা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপকরনের (পিপিই) অভাবে চিকিৎসকরাও আসছেন না।

[৩] বন্ধ দেখা গেছে হাসপাতালের দোতলায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) কক্ষ, উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তার রুম, কন্ট্রোল রুম, আইএমসিআই ও পুষ্টি কর্ণার, অপারেশন থিয়েটার, এনসিডি কর্ণার, আইসোলেশন কর্ণার, অপারেশন থিয়েটার ও পরিসংখ্যান।

[৪] এসব কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা যায়। অন্যদিকে, নারী ও শিশু নিযার্তন প্রতিরোধে সহায়তা প্রদানকারী ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি), হাসপাতালের দুই প্রধান সহকারির কক্ষ, ল্যাবরেটরি, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অফিস ও টিকাদান (ইপিআই) রুম খোলা ও কক্ষের ফ্যান ঘুরছে দেখা যায়। তবে, এসব অফিসের কোন কর্মকর্তার দেখা মেলেনি।

[৫] বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে দেখা যায় হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা প্রার্থী রোগীদের কাউন্টারে স্বাভাবিক সময়ে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ রোগীর ভিড় থাকতো, করোনা ভীতির কারনে সেখানে কাউন্টার রোগী শূন্য।

[৬] তবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা, সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সচেতনা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। বর্তমানে গোটা হাসপাতালে বিরাজ করছে ভূতুড়ে পরিবেশ। নিচতলায় জরুরি বিভাগে মাঝে মধ্যে কাটাছেঁড়ার কিছু রোগী আসছেন। যাদের ব্যান্ডেজ ও সেলাই করে বিদায় দেয়া হচ্ছে। জরুরি বিভগে দায়িত্বরত হাসপাতালের স্টাফরা সেলাই ও ব্যান্ডেজের কাজ সম্পন্ন করছেন। দ্বিতীয় তলার নারী ও পুরুষ ওয়ার্ডগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। ২/৩ জন কর্তব্যরত নার্সকে সেখানে অলস সময় পার করতে দেখা যায়।

[৭] হাসপাতালে দায়িত্বরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স বলেন, রোগী নাাই, তাই বাসা থেকে আসা যাওয়ার মধ্যে আছি।

[৮] বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল্লাহেল মাফী বলেন, আমি সাড়ে ৮টায় হাসপাতালে গিয়ে দিনাজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে মিটিং থাকায় পৌঁনে ১০টায় হাসপাতাল ত্যাগ করি। অফিস আওয়ার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডাক্তার ও অন্যান্য স্টাফদের অফিসে থাকার কথা বলে আসি। কেন হাসপাতাল ডাক্তার শুন্য ছিল, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়