মঈন উদ্দীন, রাজশাহী প্রতিনিধি: [২] কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দির ধারণ ক্ষমতা এক হাজার ৪৫০ জন। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত হাজতি এবং কয়েদি মিলে বন্দি ছিলেন তিন হাজার ৪০০ জন। অর্থাৎ দিগুনের বেশি বন্দি রয়েছে। এতে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্দিদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
[৩] কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, মার্চের শুরুর দিকে বন্দি সংখ্যা কিছুটা কম ছিলো। এখন আদালতে জামিন শুনানি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিনই আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এতে কারাগারে বাড়ছে বন্দির সংখ্যা। তবে নতুন বন্দিদের কারাগারের ভিতরেও কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। বর্তমানে ৩৫ জন বন্দিকে কারা কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
[৪] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে যে ওয়ার্ডে ৫০ জন বন্দি থাকার কথা, সেখানে গাদাগাদি করে থাকেন অন্তত ১২০ জন। গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে তাদের ঘুমাতে হয় রাতে।
[৫] করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছে সেখানে কারাগারে এটি নিশ্চিত করার কোনো ব্যবস্থায় নেই। বিষয়টি ভাবাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে।
[৬] রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, কারাগারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কোনো উপায় নেই। এটি একটি বড় সমস্যা। কোনোভাবে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি কারাগারে চলে এলে কী হবে সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
[৭] রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন জানান, কারাগারে প্রতিদিন নতুন যেসব বন্দি আসছেন তাদের ১৪ দিন আলাদা করে রাখা হচ্ছে। আর কারাফটকেই চিকিৎসক তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। অসুস্থ কেউ থাকলে তাকেও পুরোপুরি আলাদাভাবে রাখা হচ্ছে। বুধবার কারাগারে এ রকম ৩৫ জন বন্দি আছেন। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী
আপনার মতামত লিখুন :