স্পোর্টস ডেস্ক : [২] ক্রিকেট ম্যাচে বৃষ্টির বাগড়া খুবই পরিচিতি দৃশ্য। আগে এ ধরনের ম্যাচ বাতিল করা হতো। কিন্তু এতে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টগুলোতে পয়েন্ট টেবিলে একটু ঝামেলা হতো। ফলে নতুন নিয়ম চালু করেছিলো আইসিসি। যেটার নাম বৃষ্টি আইন, বা ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি। অনেকে ডিএল মেথডও বলে থাকেন। এই পদ্ধতির দুই জনক- ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ এবং টনি লুইস। এই ক্রিকেটীয় আইনের অন্যতম প্রবক্তা টনি লুইস পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে।
[৩] ইংল্যান্ডের এই পরিসংখ্যানবিদ জন্ম নিয়েছিলেন বোল্টন, ল্যাঙ্কাশায়ারে। ১৯৪২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করা এই প্রবীণ ব্যক্তিত্ব গতকাল মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৮ বছর বয়সে।তার সহকর্মী ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ এখনো পরিসংখ্যানবিদ হিসেবে ল্যাঙ্কাশায়ারে কর্মরত আছেন।
[৪] ষাটের দশকে শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত এবং পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন লুইস। পেশাজীবনে গবেষণার পাশাপাশি শিক্ষকতা পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন। ইউনিভার্সিটি অব দি ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ডে শিক্ষকতা করানোর সময়ই লুইস ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি বা বৃষ্টি আইনের উদ্ভব ঘটান।
[৫] ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচে বৃষ্টি আইনের প্রথম প্রয়োগ ঘটে। ২০০১ সালে আইসিসিও এই নিয়মকে স্বাগত জানায়। বর্তমানে একদিনের ক্রিকেট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস বৃষ্টিবিঘ্নিত হলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচের ফলাফল বা নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :