রুম্পা সায়েদা টাইগার জামান : আপনারা যারা ফ্লোরা ম্যাডামের শাড়ির হিসাব করছেন তারা ম্যাডাম সম্বন্ধে কতোটুকু জানেন? আসুন দেখি উইকিপিডিয়া কি বলে।
মীরজাদী ১৯৮৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করার পর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। পরে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) থেকে রোগতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করে তিন বছর গবেষণা করেন। তিনি নিপসমে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০১৬ সালে তিনি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মহামারী সৃষ্টিকারী ভাইরাস ও রোগ বিস্তার প্রতিরোধে বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গবেষণা করেন। তার তত্ত্বাবধানে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে জিকা ভাইরাস, মধ্যপ্রাচ্যের শ্বাসযন্ত্রের সিন্ড্রোম সম্পর্কিত করোনভাইরাস এবং ২০১৯-২০ সালে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তার দল ২০১৭ সালে বাংলাদেশে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কাজ করেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ন্যাশনাল পাবলিক হেল্থ ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন রোগতত্ত্ববিদ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। তিনি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) দায়িত্বাধীন পরিচালক। তিনি ফাউন্ডেশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের ফেলো। যেহেতু কিছু বললেই বলেন, লিংক দেন। তাই তথ্যগুলো দিলাম। এবার জেনে নিন, আজকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে তিনি স্পষ্টভাবে কী অনুরোধ করেছেন।
ফ্লোরা ম্যাডাম খুব স্পষ্ট করে বলেছেন, পিপিই কাদের পরা প্রয়োজন, কীভাবে প্রয়োজন, কাদের প্রয়োজন নেই। একমাত্র তিনিই উল্লেখ করেছেন কীভাবে ‘পিপিই’গুলোর অযথা ব্যবহার করা হচ্ছে ‘অপ্রয়োজনীয়’ স্থানে। এখন এগুলো দরকার তাদেরই যারা করোনা রোগী দেখছেন। আর সেটা হলো সারাদেশের চিকিৎসক। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মরদেহ দাফন নিয়ে এলাকায় অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন বিষয়টি আমলে নেন। যার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীও সম্মতি প্রদান করে বলেছেন, যে অপ্রয়োজনে পিপিই পরবেনÑ তাকে রোগী দেখতে পাঠানো হবে। এলাকাভিত্তিক সংবেদনশীলতা বাড়ানোর ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে। ধন্যবাদ ফ্লোরা ম্যাডামকে। কারণ তার মতো সৎবুদ্ধি, সৎসাহস করে এভাবে কথা বলতে দেখিনি অনেককে। তিনি শাড়ি পরুক আর ঘাগড়া পরুকÑ এটাকেই ‘এম্পাওয়ারমেন্ট’ বলে। কেমন? আর আমার মতো গরিব মানুষেরও ২০০টার উপর শাড়ি আছে। তার বর্ণাঢ্য জীবনে ৫০টাও শাড়ি নেইÑ এই জ্ঞান নিয়ে বেঁচে আছেন? তার মতো কথা বলা শিখুন। তার কাজ দেখুন। আর কতোদিন জামাকাপড় দেখে মানুষকে বিচার করবেন? এখন তো টিয়া পাখিও শহরে ফিরে এসেছেÑ আপনাদের দিশা ফিরবে না? ধন্যবাদ, আবার আসবেন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :