শাকিল আহমেদ : দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুতেই এতো কম হতে পারে না। পরীক্ষা করা গেলে সংখ্যা আরও বাড়তো, এটাই বেশিরভাগ মানুষের মত। আমারও তাই। কিন্তু প্রশ্ন হলো কতো মানুষ বাংলাদেশে এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত, কিন্তু পরীক্ষার আওতায় আসেননি? বা আসতে পারেননি? সেই সংখ্যাটা অন্যান্য দেশের মতো মহামারী সংখ্যা হলে তা কি সত্যিই গোপন করা সম্ভব? বাংলাদেশে ১৫ কোটি মানুষের হাতে মোবাইল ফোন, তাতে ইন্টারনেট আছে ৯ কোটির উপরে, সাড়ে তিন কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন।
দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যাও কয়েক হাজার। ফলে সরল প্রশ্ন হলো এই মুহূর্তে বিরাট সংখ্যার মানুষ সত্যিই কি পরীক্ষা করতে চেয়ে পরীক্ষা করাতে পারেননি? সর্দি জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যাও কি বিপুল? চোখ বন্ধ করে নিজে ভেবেছিÑ আগে যারা সারাক্ষণ কাশি দিতেন তাদের কাশিও কিন্তু ইদানীং বন্ধ। আর কেউ করোনায় মারা গেছেন, কিন্তু ঘোষণা আসেনি ... সেই মানুষটির কথাও কি বাংলাদেশে এখন আর গোপন করা সত্যিই সম্ভব? সর্দি কাশিতে সারাদেশে মারা যাওয়ার খবর জেলা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আমরা গেলো সাত দিনে যা পেয়েছিÑ মোট সংখ্যাটা ১০ থেকে ১২ জন। তাদের সত্যিই করোনাই হয়েছিলো কিনাÑসেই ফলাফল ধরেও আরো রিপোর্ট হতে পারে। কিন্তু সংখ্যা যাই বলুক ঘোষিত ৪৯ আক্রান্তের মধ্যে যদি মারা যান ৫ জন, অর্থাৎ ৯ শতাংশ মৃত্যুহার, সেটিও কিন্তু কম নয়। ফলে যে যাই বিশ্বাস করি ... সমালোচনা আলোচনা যাই করি ... সিদ্ধান্ত এখন একটাই হওয়া উচিতÑ আরো দুসপ্তাহ লকডাউন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :