শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০২ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০২ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একদল মানুষ আবার করোনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার খালি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে

প্রভাষ আমিন : একদল মানুষ আবার করোনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার খালি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাল্লা দিয়ে দামও বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের, যদিও পরে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে যারা মণকে মণ চাল, ডাল, তেল, মাছ-মাংস কিনে ফ্রিজ ভর্তি করে ফেলেছে, ওষুধের দোকান খালি করে ফেলেছে, তারা অবশ্যই স্বার্থপর। তারা শুধু নিজেরাই বাঁচতে চেয়েছে। আশপাশের মানুষ, স্বজন, গরিবদের কথা ভাবেনি। এই স্বার্থপর মানুষগুলো নানা সময়ে সমাজে সংকট তৈরি করে। এখন বিশ্বজুড়ে এক মানবিক বিপর্যয় চলছে। এই সময়ে আমাদের সবাইকে আরও মানবিক হতে হবে। কিছু মানুষ সব নিয়ম মেনে সত্যি সত্যি লকডাউনে চলে গেছে। ভয়াবহ আতঙ্ক গ্রাস করেছে অনেককে। করোনা মোকাবেলায় আমাদের সাবধান থাকতে হবে, পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, কিন্তু আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। আমি জানি আতঙ্কিত হওয়া যাবে না, এ কথা বললেই আতঙ্ক দূর হবে না। কিন্তু ভাবুন আতঙ্কিত হয়ে কোনো লাভ নেই। আতঙ্ক দিয়ে তো করোনা ঠেকানো যাবে না। বরং অতিরিক্ত আতঙ্কে আপনার সাবধানতায় ভুল হয়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন, আতঙ্কিত হবেন না। চেষ্টা করুন মাথা থেকে করোনার আতঙ্কটা ঝেড়ে ফেলতে। সারাক্ষণ করোনায় বুঁদ হয়ে থাকবেন না। শুধু করোনার নিউজ আর গুজবের পেছনে ছুটলে করোনা না ধরলেও মানসিক অবসাদ আপনাকে কাবু করে ফেলতে পারে। বনের বাঘ আসার আগেই যদি মনের বাঘ আপনাকে খেয়ে ফেলে, তাহলে তো বিপদ। আপনি আপনার বাসার, পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন এবং করোনাকে ভুলে থাকার চেষ্টা করুন। বরং নিত্য ব্যস্ততার ফাঁকে পাওয়া সময়টুকু কাজে লাগান। পরিবারকে আরও বেশি সময় দিন। সঙ্গীর দিকে গভীর ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকান, সন্তানের খোঁজ নিন। সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের দিকে বিশেষ নজর দিন। মমতায় ভরিয়ে দিন আপনার পরিবারকে, দূর করুন করোনার আতঙ্ক। গত বইমেলায় কেনা বইগুলো পড়ে ফেলুন। গভীর চিন্তার বই পড়ায় মনঃসংযোগ ঘটাতে না পারলে হালকা চালের বই পড়ুন। প্রিয় গান শুনুন। আপনি যে ধর্মেরই হোন প্রার্থনা করুন। সৃষ্টিকর্তার কাছে আতঙ্ক থেকে মুক্তি চান। বাগান থাকলে তার পরিচর্যা করুন। সময়ের অভাবে যেসব সিনেমা দেখতে পারছিলেন না, তালিকা করে সেগুলো দেখে ফেলুন। নিজেকে চাঙ্গা রাখুন।যারা সৃষ্টিশীল মানুষ তারা লেখালেখি করুন, সংগীতচর্চা করুন। নিজের কাজের ভুলগুলো মনে করে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করুন। কোনো অন্যায় বা অপরাধ করে থাকলে অনুশোচনা করুন, ক্ষমা চান। আর নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞা করুন, করোনা-পরবর্তী সময়ে আপনি কোনো অন্যায় করবেন না, দুর্নীতি করবেন না, কারও হক মারবেন না, কারও প্রতি অবহেলা করবেন না, পরিবারকে সময় দেবেন। করোনা-পরবর্তী সময়ে আমরা যেন আরও মানবিক, আরও সৃষ্টিশীল হয়ে উঠতে পারি। করোনা থেকে বাঁচতে গিয়ে করোনা আতঙ্কে কাবু হবেন না। করোনা যতোটা আতঙ্ক নিয়েই আসুক, একসময় তো যাবেই। তাই বলে তো জীবন থেমে থাকবে না। জীবনকে সময় দিন। বাঁচুন আরও বেশি করে, প্রাণভরে। লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়