তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : [২] লন্ডন থেকে এলাকায় হত দরিদ্রদের আর্থিক সহায়তা করার মানসে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের বারুহাঁস ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি ওয়েব সাইটে দরিদ্রদের নামের তালিকা খুঁজতে যান সোহেল সরকার নামে এক প্রবাসী।
সোহেল সরকার উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের সাহাদত সরকারের ছেলে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করছেন।
[৩] সেখানে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি ওয়েবসাইটে দেখতে পান, প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় এক থেকে নয় জনের মধ্যে যাদের নাম রয়েছে তারা সবাই তার নানার বাড়ির আত্মীয় । যারা একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী সগুনা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ইউরোপ, আমেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি বসবাস করছেন।
প্রবাসী সোহেল সরকার ওই তালিকাটি দেখে নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে বিষয়টি তাড়াশের পরিচিত সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে জানান।
[৪] এরপর স্থানীয় সাংবাদিকরা ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েব সাইটে ঢুকে দেখতে পান, বারুহাঁস ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় প্রথমেই যার নাম রয়েছে তিনি আলহাজ্ব জহিরুল ইসলাম জুয়েল বর্তমানে ইতালিতে বসবাস করছেন। ২নং জাহাঙ্গীর আলম রুবেল তিনি আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে বসবাস করেন। ৩নং জাকারিয়া ইসলাম ও ৪নং জয়নাল আবেদীন রোজ তারা দুই জনেই বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করছেন। এছাড়া ৫নং জহুরা খাতুন (তার নানী) তিনিও লন্ডনে বসবাস করেন।
[৫] ৬নং কামরুজ্জামান ইতালিতে বসবাস করেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তদের তালিকায় নাম থাকা ৭নং বিউটি খাতুন, সাথী খাতুন , বিদুৎ হোসেন ৩ জনই লন্ডন প্রবাসী। তারা সেখানে চাকুরী করার পাশাপাশি বসবাস করেন ।
এ প্রসঙ্গে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন জানান, প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকা অনেক আগে থেকেই করা। সে ভাবেই রয়ে গেছে। তবে অন্য ইউনিয়নের লোকজনের নাম থাকার কথা না।
[৬] তবে এ কথা বলার আধা ঘন্টা পরেই ওই ওয়েব সাইটে ঢুকে দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদের অন্যান ভাতার সুবিধাভোগীদের নামের তালিকা সেখানে বিদ্যমান থাকলেও অভিযোগ ওঠা ওই প্রবাসীদের নামের প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তদের তালিকা ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
[৭] এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্তকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, তিনি সদ্য এ উপজেলায় যোগদান করেছেন। বিষয়টি দেখে পরে জানাবেন।
[৮] এ প্রসঙ্গে তাড়াশ ইউএনও ইফ্ফাত জাহান স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান, বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :