আব্দুল্লাহ মামুন : [২] নিখোঁজ সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় মামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানায় সংস্থাটি।
[৩] অ্যামনেস্টি জানিয়েছেন, শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে পুলিশ ২০১৮ সালের কঠোর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে দ্বিতীয় মামলাটি নথিভুক্ত করেছে তার অনুলিপি তারা হাতে পেয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এটা উদ্বেগজনক যে সিসিটিভি ক্যামেরায় তাকে শেষ দেখা যাওয়ার মাত্র তিন ঘণ্টা পর তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করা হয়। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মাথায় ফের মামলা হয়।
[৪] সাংবাদিক কাজলের ভাগ্যে কী ঘটেছে এবং তার বর্তমান অবস্থান নির্ধারণে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই জরুরি তদন্ত শুরু করতে হবে। তিনি যদি কোনও রাষ্ট্রীয় সংস্থার হেফাজতে থাকেন তবে তাকে মুক্তি দিতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে যাবতীয় মামলা তুলে নিতে হবে।
[৫] অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বলেন, ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়েরের ঘটনার মধ্যেই শফিকুল ইসলাম কাজলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি গভীর উদ্বেগজনক। এটি কোনও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। রাষ্ট্রের দায়িত্ব মানুষের জীবন রক্ষা করা।
[৬] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫০ বছরের শফিকুল ইসলাম কাজল একজন ফটোগ্রাফার এবং দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক। ৩১ জনসহ তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের মামলার একদিন পর ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে তার আর কোনও খোঁজ মিলছে না।
আপনার মতামত লিখুন :