বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] ধর্মীয় প্রার্থনার ধরণ বদলে যাচ্ছে।ওযুতেও ব্যাবহার হচ্ছে সাবান। মসজিদ বা মন্দির যেখানে সমবেত হতে হয় এমন উপাসনাস্থল পরিবর্তন করে মানুষ বাড়িতেই প্রার্থনা করছে। আগামীতে হয়তো উপাসনা ব্যক্তিগত স্থরেই চলে যাবে।
[৩] সিরিয়াস সাংবাদিকতাকেও চিনতে পেরেছে সাংবাদিকরা। আগের কোন ব্যক্তির কথা নির্ভর সাংবাদিকতার স্থলে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। টেলিভিশনেও এর পরিবর্তন হয়েছে।
[৪] ডাক্তার ও পুলিশ সম্পর্কেও ধারণা পাল্টাচ্ছে। আগে ডাক্তারদের কর্পোরেট ব্যবসার পার্টনার ভাবা হতো। এখন তাদেরই বলা হচ্ছে সমাজের অগ্রসৈনিক। পুলিশদের সম্পর্কে ধারণা ছিল পেটুয়া বাহিনীর। এখন তাদের সহায়ক শক্তি মনে হচ্ছে।
[৫] জনস্বাস্থ্যের দিকে নজর বেড়েছে সরকারের। সামনে এটি বাজটের বড় খাত হতে বাধ্য। ধনী ও গরীব দুই ধরনের চিকিৎসা। এটি দূর হয়েছে। সামনে সবাই পাবলিক হাসপাতাল মুখীই হবেন।
[৬] দান ও খয়রাতের ধারনাও পাল্টে গেছে। আগে দান মানে কিছু সংস্থা বা ব্যক্তিকে চেক প্রদান। এখন দান মানে হলো, গরীবের দরজায় খাবার,ওষুধ ও স্যানিটাইজার নিয়ে হাজির হওয়া। এমনকি এসব বড় শপিং মল থেকে ক্রয় নয়। স্থানীয় বাজার থেকেই কেনা।যাতে সব্রাই ক্রয় স্বক্ষমতা থাকে।
[৭] পারিবারিক বন্ধন জোড়ালো হয়েছে। এখন মা-বাবা পরিবারের সবাই একসঙ্গে দুপুরে খাচ্ছে। একসঙ্গে টিভি দেখছে।
৮] খেটে খাওয়া শ্রমিকদের পরিস্যংখান বদলে যাচ্ছে। ধারণার চেয়েও অনেক শ্রমিক দেখা যাচ্ছে।
[৯] মানুষের প্রাইভেসির ধারণা পাল্টে যাচ্ছে। আগে মোবাইল ফেনের নাম্বার দিতে অনেকে সংকোচ করতেন। এখন প্রকাশ্যে দিচ্ছেন।
[১০] জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে ধারনা উঁচু হচ্ছে। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সম্পর্কে ধারনা নেতিবাচক হয়েছে।
[১১] প্রবাসীদের সম্পর্কেও জনমানুষের ধারণার পরিবর্তন হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :