তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : [২] বরগুনার তালতলীতে শুধু নামে মাত্রই তালতলী হাসপাতাল। নেই জনবল, ঔষধপত্র ও আউটডোর ইনডোর চালু। নেই এ্যাম্বুলেন্সও। অথচ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার পর বরগুনা সিভিল সার্জনের প্রতি ক্ষোভে ফুসছে তালতলীবাসী।
[৩] জানা গেছে, তালতলী উপজেলায় আড়াই লক্ষ মানুষের বসবাস। এখানে নামেই আছে তালতলী ২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। কাজের বেলায় কিছুই। ৫জন ডাক্তারের পদ থাকলেও সদ্য নিয়োগকৃতসহ ৩জন ডাক্তার ও ৩জন নার্স থাকলেও নেই অন্যান্য জনবল। ঔষধপত্র ও আউটডোর ইনডোর চালু নেই। ২০ শয্যা তো দুরের কথা ভর্তি করা হয়নি কোন রোগী। মূমুর্ষ কোন রোগী আসলে চিকিৎসার জন্য দুরে কোথাও নেয়ার জন্য নেই এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে সমস্যায় জর্জরিত তালতলী ২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল।
[৪] এতো সমস্যার মধ্যেও মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বরগুনা জেলার সমস্যা জানতে চাইলে সিভিল সার্জন মো. হুমায়ুন খান শাহীন বলেন এ জেলায় কোন সমস্যা নেই। ২০০১সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তালতলী-আমতলী আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
[৫] এ কারনে বরগুনা একটি উপকুলীয় জেলা হিসেবে তিনি অবগত আছেন। তাই সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলার সময় বার বার নৌ এ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজনের কথা উল্লেখ্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
[৬] এ জেলায় কোন সমস্যা নেই বলে সিভিল সার্জনের এহেন দায়িত্বহীন বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তালতলীর সর্বস্তরের জনগন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার পরপরই সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে বরগুনার সিভিল সার্জন মোঃ হুমায়ুন খান শাহীনের বিরুদ্ধে। করোনা ভাইরাসের মত মহামারীর সময়ও তালতলী হাসপাতালের বহুমুখী সমস্যাসহ এ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও এর কোন খোজ রাখেননি সিভিল সার্জন মো.হুমায়ুন খান শাহীন। সম্পাদনা :জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :