এম এ হালিম,সাভার প্রতিনিধি : [২] সামাজিক দুরুত্বের তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সমাজের বিত্তবানরা দুস্থ ও কর্মহীনদের মাঝে বিতরণ করছেন ত্রাণ। এতে করে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার কর্মহীনদের মাঝে করোনাভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে। দ্রুতই এব্যাপারে সতর্ক না হলে সম্ভাবনা রয়েছে বিপর্যয়ের। এ ব্যপারে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি রাখার দাবি জানিয়েছন সচেতন মহল।
[৩] করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রেহাই পেতে সারা দেশের মত শিল্লাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন শিল্প কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নির্ধারণ করা হয়েছে সামাজিক দুরুত্ব। এমন স্থবির অবস্থায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে এখানকার অসংখ্য দিনমজুর। ফলে খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা। আর এইসব দিনমজুরদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সমাজের বিত্তবানরা। দুস্থদের মাঝে বিতরণ করছেন ত্রানসহ করোনাভাইরাস রোধক সামগ্রী। তবে তারা কোনরকম সামাজিক দুরুত্ব সৃষ্টি না করে জনসমাগমের মাঝেই বিতরন করছেন এসব ত্রাণ সামগ্রী।
[৪] গত কয়েক দিন ধরেই সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী, রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠন ছাড়াও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুস্থ ও কর্মহীনদের মাঝে এভাবেই বিতরন করা হচ্ছে ত্রাণ। একটি ত্রানের প্যাকেট একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তি ধরে একজন কর্মহীন ব্যক্তিকে বিতরণ করতেও দেখা গেছে। যেখানে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে ও সঙ্গরোধ ঠেকাতে প্রায় সবকিছুই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে দলবদ্ধভাবে বিতরণ করা হচ্ছে ত্রাণ। সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে ত্রাণ বিতরণ করার আহবান জানিয়েছন সচেতন ব্যক্তিবর্গ।
[৫] তবে কিছু কিছু স্থানে উল্টো চিত্রও চোখেও পড়েছে৷ কেউ কেউ ত্রাণ দেয়ার সময় চেষ্টা করছেন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে।
[৬] এব্যাপারে ত্রাণ বিতরণকারী আশুলিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণের প্রথম দিন একটু লোক সমাগম হয়েছিলো। এরকম লোক সমাগম হওয়ার পর ত্রাণ বিতরণের ধরণ পরিবর্তন করেছি। এখন দুস্থ ও কর্মহীনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা করা হয়। পরে আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এভাবেই ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছি।
[৭] এ ব্যাপারে আশুলিয়া সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ ইমাম বলেন, যেভাবে দলবদ্ধভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে তাতে করে এই ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি আছে। আমি অবশ্যই সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে ত্রাণ বিতরণের আহবান জানাই। সেই সাথে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এসব ত্রাণ বিতরণ মনিটরিং করার জন্য কতৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাই।
[৮] সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, করোনাভাইরাস রোধে সামাজিক দুরুত্বের কোন বিকল্প নেই। সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত হলেই কেবল করোনাভাইরাসের সংক্রমন থেকে বাঁচা সম্ভব। আমরা সবাইকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করেছি, লিফলেট বিতরণ করেছি হ্যান্ড মাইক নিয়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও সতর্কতামুলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা রোধে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। তাই সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করেই কেবল সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিৎ। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :