শাহীন খন্দকার : [২] রাজধানীর শেরেবাংলা নগর হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালের সামনে বুধবার সকালে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ভোর সাতটায় বাহির হয়েছি ১৩ মাসের ছেলে সন্তানের চিৎকারে। বৌ কৈলো গেদার দুধ শেষ হয়েছে, খিদার জ্বালায় কাতরাচ্ছে। তাই আফা হাসপাতালের সামনে দাঁড়াইয়া আছি রিকশা নিয়া। ১২টার মধ্যে ৩’শ টেকা কামাইতে অইবো, তা না অইলে পোলাই না খাইয়া থাকবো।
[৩] রুবেল মিঞার বাড়ী কিশোরগঞ্জের ঈশ্বরগঞ্জ সোহাগি বাজার। অভাবের সংসারে দুই বোন, মা-বাবা নিয়ে ছিলো তার সংসার। সম্প্রতি গার্মেন্টসকর্মীএক তরুণীকে তিনি বিয়ে করেছেন।
[৪] প্রশ্নের জবাবে এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, পুত্র সন্তান হওয়ার পর থেকে স্ত্রীকে গার্মেন্টসে কাজ করতে যেতে দেন না কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতিতে কোথাও যেতেও পারছেন না। এদিকে মহল্লায় যে খাদ্য বিতরণ করছেন তাও তাদের দিচ্ছে না। কারণ তিনি দারুসসালাম এরিয়ার ভোটার না বলেই তাকে বা তার স্ত্রীকে কোনো ত্রাণ-সাহায্য দেয়া হচ্ছে না।
[৫] তিনি আরো বলেন, বাসাভাড়া দিতে হবে, ৪ হাজার টাকাসহ বাপ-মায়েরে দিতে হবে এক হাজার টাকা। এই টাকা কৈ পাবো রিকশা নিয়ে বাহির না হলে ? তিনি দুঃখ করে জানালেন, ঢাকায় ভোটার না আপা, গ্রামে তো ভোটার। সরকার এটা কি নিয়ম চালু করলেন? ভোটার হলে সাহায্য পাবো ভোটার না হলে সাহায্য পাবো না প্রশ্ন করেন?
[৬] রুবেল মিঞা বলেন, করোনা ছোঁয়াচে রোগ জেনেও সন্তানের চিৎকারে ছুটে এসেছি হাসপাতালের সামনে বেশি রোজগারের আশায়!
আপনার মতামত লিখুন :