ডেস্ক রিপোর্ট : [২] সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও ছোবল দিয়েছে করোনা ভাইরাস। এর ভয়াবহতা রোধেই সারাদেশে চলছে সাধারণ ছুটি। রাস্তায় অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বের হচ্ছেন না।যদিও এখন পর্যন্ত এদেশে করোনা আক্রান্ত মানুষ এবং মৃত্যু সংখ্যা তেমন বেশী নয়। এই পরিস্থিতিতে এদেশের জনগনকে অভয় দিচ্ছেন এই পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে কাজ করা বিদেশী কোচরা। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলাদেশের জনগন যদি নিয়ম মেনে চলে তাহলে তারাও জয়ী হরে করোনার বিপক্ষে। নয়া দিগন্ত
[৩] ২০০৫ সালের সাফ ফুটবল এবং ২০০৬ এর এস এ গেমসে বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন আর্জেন্টিনার দিয়েগো আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানী।জাতীয় দলের পর ঢাকা আবাহনীতে কোচিং করা ক্রুসিয়ানীর মতে, এই মহামারীতে থেকে মুক্তির জন্য সব বাংলাদেশীকে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতে হবে। সে সাথে যার যার বাড়ীতে অবস্থান করতে হবে। এটাই এখন একমাত্র উপায় এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া। সাথে তার পরামর্শ যার যার নিজের দায়িত্ব তার যত্ম নেয়া।
[৪] ক্রুসিয়ানীর পরেই বাংলাদেশ দলের কোচ হন ভারতের সৈয়দ নঈমুদ্দিন। এর আগে ও পরে তিনি ব্রাদার্স ইউনিয়নের কোচ ছিলেন। তা লম্বা সময়ের জন্য। অল্প সময়ের জন্য ছিলেন মোহামেডানের কোচ।বর্ষীয়ান এই কোচের মতে, বাংলাদেশী জনগন প্রাণপণে চেষ্টা করছে এই করোনা ভাইরাসের বিপক্ষে যুদ্ধে জয়ী হতে। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ এবং ভারতে অচিরেই নিশ্চিহ্ন হবে এই করোনা। সাথে পুরো বিশ্ব থেকেও। সারা দুনিয়ারই এখন এই করোনার বিপক্ষে লড়াই করছে এটাকে পরাজিত করতে।
[৫] ২০১৬ সালে বাংলাদেশের কোচ ছিলেন বেলজিয়ামের টম সেইন্টফিট। তার পরামর্শ, বিশ্বের অন্য দেশ গুলোর মতো প্রত্যেক বাংলাদেশীরাও যেন নিয়ম মেনে চলে। তাহলে খুব দ্রুত এই ভাইরাস পৃথিবী থেকে দূর হয়ে যাবে।তিনি জানান, এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে নিয়মকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। কোনো ভাবেই একে অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই।
[৬] ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের কিছু সময় বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন লর্ড উইগ ডি ক্রয়েফ। এই ডাচ এখন ব্যস্ত নিজ দেশে। বাংলাদেশী জনগনের প্রতি তার পরামর্শ, কর্তৃপক্ষ যে আইন করেছে এর শতভাগই মেনে চলতে হবে। কারোনার ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে এই এ ক্ষেত্রে কোনো যুক্তি বা অজুহাতই কাজে আসবে না। আমার প্রত্যাশা বাংলাদেশের সব মানুষ সুস্থ থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :