শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০৪ সকাল
আপডেট : ০১ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বিয়ে পিছিয়ে দিয়ে ‘করোনাযুদ্ধে’ মুসলিম নারী চিকিৎসক

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] করোনায় কাঁপছে ভারত। শত শত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। এমন অবস্থায় রবিবারই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ভারতের কেরালার কুন্নুরে কর্মরত চিকিত্‍সক সাফির। কিন্তু করোনার রোগীদের সেবা করার জন্যই বিয়েটা পিছিয়ে দিলেন তিনি। মনোযোগ দিয়েছেন চিকিৎসাসেবায়।

[৩] ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সাফির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল গত রবিবার। কিন্তু তিনি সেই বিয়ের দিন পিছিয়ে দিলেন। কারণ, তিনি চিকিত্‍সক। দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে বিয়ে করার মতো বিলাসিতা তার জীবনে আর নেই। তার জীবনের যা পেশাগত কর্তব্য, তাই তিনি পালন করলেন। বিয়ের দিনটা পুরোটাই কাটল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। রবিবার চিকিত্‍সক হিসেবে রোগী সেবা করেই দিন কাটালেন তিনি।

[৪]সাফির স্বামী দুবাইয়ের ব্যবসায়ী। ২৯ মার্চ বিয়ের জন্যই তিনিও তৈরি ছিলেন। কিন্তু কনে বলে দিল, এখন বিয়ে হবে না। আগে দেশের অবস্থা ভালো হউক। আপাতত চিকিত্‍সক হিসেবে কাজ করতে চান তিনি। তবে এই নিয়ে বিশেষ কথা বলতে চান না সাফি। তিনি বলেন, দেখুন বিয়ে অপেক্ষা করতে পারে, অসুস্থ হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি, তারা অপেক্ষা করতে পারবেন না। তাই আমি আমার কর্তব্য পালন করছি মাত্র। এর বাইরে কিছুই নয়। এটা নিযে এতো আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।

[৫]রবিবারই বিয়ের পোশাকে থাকার কথা ছিল তার কিন্তু সেদিনই তিনি হাসপাতালে পরে আছেন পিপিই। তিনি বললেন, ‌বন্ধুরা এই নিয়ে ইয়ার্কি মারছে। বাড়ির লোকেরাও হাসি ঠাট্টা করছে, কিন্তু সবার মানসিক সমর্থন ছাড়া আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম না। মা বাবা, আমার কথায় একবারে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন, আমার হবু স্বামীও রাজি হয়েছেন একবারেই। আমি তাদের কাছেও কৃতজ্ঞ।

সূত্র: নিউজ এইটিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়