শাহনাজ বেগম: [২] দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জীবাণূনাশক ছিটানোর যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, রোগ বিশেষজ্ঞরা এটিকে স্বাস্থ্য হুমকির পাশাপাশি সময় ও সম্পদের অপচয় হিসাবে সমালোচনা করেছেন। রয়টার্স, ইন্ডিয়া টুডে
[৩] স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা সত্ত্বেও করোনা মোকাবিলায় মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরবায়ার প্রদেশে ব্যাপক ভাবে জীবাণুনাশক ছিটানো হয় যা শহরটির আকাশ ঢেকে যায়।
[৪] তুরস্কের গ্র্যান্ড মার্কেট থেকে মেক্সিকো ব্রিজ এবং ভারতে অভিবাসী শ্রমিকদের উপরে যেভাবে জীবাণূনাশক ছিটিয়ে দেয় তা দেখে কৌতুক চলচ্চিত্র ঘোস্টবাস্টারসের রক্ষণাত্মক চরিত্রগুলোর দৃশ্যের মত মনে হয়।
[৫] সিঙ্গাপুরের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডেল ফিশার বলেছেন, জীবাণূনাশক ছিটিয়ে কোন লাভ নেই, কারণ ভাইরাসটি পরিবেশে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকে না তবে এটি মানুষের জন্য বিষাক্ত হতে পারে।
[৬] ক্লিনিকাল মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইনফেকশন এর এশিয়া প্যাসিফিক সোসাইটির পল ট্যাম্বিয়া বলেছেন, জীবাণু মুক্ত করতে পরিস্কার থাকার ব্যবস্থা উত্তম ছিলো। কারণ দূষিত কোন কিছু থাকলে তা নাক, মুখ বা চোখ স্পর্শ করলে সংক্রামিত হতে পারে।
[৭] তাম্বিয়াহ বলেছেন, স্প্রে করা একটি সস্তা এবং দৃশ্যমান উপায়, তবে ব্যক্তিগত এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সতর্কতা আরও কার্যকর।
[৮] বিশ্বের ২০৪ টি দেশ আঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় এ পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৬৫৫ জন এ ভাইরাসে মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৪ হাজার ১৮৯ জন।