আব্দুল্লাহ মামুন: [২] বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশে বেশ কয়েকটি হটলাইন নম্বর চালু করেছে সরকার। করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তা দেওয়ার জন্য দায়িত্ব পালন করলে অনেক কলারই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে প্রশ্ন করছেন; কথা বলতে চাইছেন। বিশেষ করে হটলাইনের ওপারে নারী কণ্ঠ শুনলেই আপত্তিকর এবং অবাঞ্ছিত প্রশ্ন করছেন অনেকেই।
[৩] হটলাইনে সেবা দেওয়া বেশ কয়েকজন চিকিৎসক সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিব্রতকর এসব পরিস্থিতির বর্ণনা তুলে ধরেন। এক নারী চিকিৎসক তার ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, আইইডিসিআরের হটলাইনে কাজ করার পর একটা উপলব্ধি হইছে যে, দেশের বহু মানুষের আসলে কোনো কাজই নাই এবং তাদের তেল অনেক বেশি। নাহলে মেয়ে কণ্ঠ শুনেই আপনি বিয়ে করছেন , আপনার বয়স কত, যৌবন ফিরে পাব কীভাবে, দুলাভাই কী করে, ফোন দিসি এমনিই, আপনার সাথে কথা বলার জন্য, আমাকে ফোন ব্যাক করেন, আপনার সাথে কথা বলতে চাই ।
[৪] সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছি সৌদি আরব থেকে একটা গ্রুপ ১০ বারের ওপর ফোন দিয়ে নানাভাবে বিরক্ত করেছে। সমাজসেবা কঠিন জানতাম, তবে এতটা বেহায়াপনা দেখা লাগবে জানতাম না সত্যি।
[৫] এসব হটলাইনে সেবা দেওয়া কয়েকজন চিকিৎসক পরিচয় গোপন রাখার শর্তে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। অবাঞ্ছিত কল করা ব্যক্তিদের মাঝে দেশের বাইরে প্রবাসীদের একটি সিন্ডিকেট বা গ্রুপ আছে বলেও সন্দেহ তাদের। এক নারী চিকিৎসক জানান, তিনি কল রিসিভ করার পর কলার তাকে বিভিন্ন অশালীন কথাবার্তা বলেন এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
[৬] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেন, দেশের বাইরে থেকে একটি গ্রুপ অসংখ্যবার কল করে নানাভাবে বিরক্ত করছে। অসুস্থতা কিংবা চিকিৎসা সম্পর্কিত প্রশ্ন না করে নানা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করছে। এখানে যারা কাজ করছেন তারা মানবতার সেবায় এই সংকটে কাজ করছেন। এসব অবাঞ্ছিত কলের কারণে অহেতুক জরুরি এসব নম্বর ব্যস্ত থাকে। এর ফলে যাদের তথ্য বা সেবা দরকার কাঙ্ক্ষিত সেবা সঠিক সময়ে পাচ্ছেন না। এটা জীবন মরণের সাথে জড়িত। এমনটা করা উচিত না।
[৭] ইতোমধ্যে এইসব কলারদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান আছে। সকল অবাঞ্ছিত কলারদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :