ইসমাঈল আযহার: [২] সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা ইদলিবে করেনাভাইরাস শনাক্ত মেশিনগুলোর মাত্র একটি কাজ করছে এবং ৫০ লাখের বেশি মানুষের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ২ হাজার টেস্ট কিট। আল আরাবিয়া,
[৩] খবরে জানানো হয়, ইদলিবের হাসপাতালগুলো আগ থেকেই রোগী দ্বারা ভর্তি। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে কোনও কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে না। রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য জরুরি সরঞ্জামও মজুদ নেই।
[৪] ইদলিবের একজন সাংবাদিক ইব্রাহিম আল আরাবিয়াকে বলেন, ইদলিবে মাত্র ৩টি কোয়ারেন্টাইন তৈরি করা হয়েছে। কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়লে মোকাবেলার শক্তি নেই। কারণ, এই বিশাল প্রদেশটিতে মাত্র ১৩০টি এম্বুলেন্স এবং ৫০০ ডাক্তার রয়েছে।
[৫] বিষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ইদলিবে করোনা ছড়ালে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে ২০ থেকে ৩০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। তাদের মধ্যে চিকিৎসার প্রয়োজন হবে ৩ থেকে সাড়ে ৪ লাখ মানুষের এবং ১ থেকে দেড় লাখ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন দেখা দেবে। কিন্তু বেড না থাকায় এতো মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হবে না।
[৬] ফরাসী চিকিত্সা সংস্থা এমএসএফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইদলিবে কোভিড-১৯ বড় একটি মানব ট্র্যাজেডির কারণ হতে পারে।
[৭] এখন পর্যন্ত সিরিয়ায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। মারা গেছেন ২ জন। আক্রান্ত কেউ সুস্থ হননি। দেশটিতে গত রোববার প্রথমবারের মতো একজন নারী মারা যান। ফ্রান্স২৪
[৮] সিরিয়ার উত্তর-পূর্বের একটি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। ফলে হাজার হাজার ঘরবন্দি মানুষ ক্ষুধার যন্ত্রণা ভোগ করছেন। ভয়েস অফ আমেরিকা
আপনার মতামত লিখুন :